লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা
ওষুধ
তৈরি থেকে শুরু
করে রান্নার কাজে
এবং খাওয়ার কাজে
ব্যবহৃত লেবু। ভারতের
আসাম ও চীনে
লেবু প্রথম ব্যবহার
হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের মতে
লেবু বহুকাল আগে
থেকেই ঔষধ রূপে
ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লেবুতে উপস্থিত রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন
সি, বিটামিন এবং
একাধিক পুষ্টিগুণ। যা
শরীরের নানা ধরনের
রোগ সংক্রমণ থেকে
দূরে রাখতে সক্ষম।
গ্রীষ্মকালে
ডিহাইড্রেশনের
মতো সমস্যায় লক্ষ্য
করা যায়। এই
ডিহাইড্রেডের
ফলে
হার্ট স্ট্রোক হতে
পারে। হার্ট স্ট্রোক
থেকে বাঁচার জন্য
লেবুর জল খুবই
কার্যকরী। তার কারণ
লেবুর
রসের
মধ্যে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন সি ও
মিনারেল পাওয়া যায়।
ওজন কমানোর জন্য
লেবু খুবই উপকারী।
লেবু পুষ্টিগুণে ভরপুর
একটি ফল। যেটা
আমরা সকলেই জানি।
কিন্তু আমরা হয়তো
লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে
অনেকেই জানিনা ।আজ
আমরা আপনাদের জন্য
নিয়ে এসেছি লেবুর
উপকারিতা ও অপকারিতা।
আসুন এক নজরে
পড়ে নিন লেবুর উপকারিতা ও
অপকারিতা ।
লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা |
স্ট্রোক
স্ট্রোকের মত সমস্যা বেশিরভাগ
মহিলাদেরই হয়ে থাকে।
এই সমস্যা থেকে
মুক্তি পেতে সাইট্রাস
খুবই উপকারী ।
ক্যান্সার
ক্যান্সার প্রতিরোধে লেবুর ভূমিকা অতুলনীয় । কারণ লেবুতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি যা মানবদেহের ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। লেবুতে উপস্থিতি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার উৎপাদনকারী কোষগুলিকে মেরে ফেলতে সক্ষম।
ব্রংকিয়াল হাইপারসেনসিটিভিটি
লেবুতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন সি ব্রংকিয়াল হাইপারসেনসিটিভিটির মত মারণ রোগের হাত থেকে নিরাময় দিতে সক্ষম।
হাঁপানি এবং সর্দি-কাশি
ভিটামিন
সি এর অভাবে
হাঁপানি এবং সর্দি-কাশির মত রোগ
হতে পারে।
ওজন কমাতে
শরীরের ওজন কমাতে লেবু খুবই উপকারী একটি ফল। লেবুতে উপস্থিত রয়েছে টেলিফ্লেন উপাদান যা স্থূলতা বা ওবিসিটি নামক রোগ থেকে নিরাময় দিতে সক্ষম।লেবুতে উপস্থিতিতে টেলিফ্লেন শরীরের ওজন বৃদ্ধি এবং ফ্যাট বৃদ্ধির হার থেকে নিরাময় দিতে সাহায্য করে। শরীরের চর্বি এবং ওজন বৃদ্ধির ফলে কার্ডিও ভাস্কুলার রোগের মতো নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত ঝুঁকি থাকে। তবে এই ধরনের রোগের হাত থেকে নিরাময় পেতে লেবু দিয়ে তৈরি ডিটক্স ডায়েট নামক সিরাম সেবন করতে পারেন। এটি শরীরের চর্বি বৃদ্ধি এবং ওজন বৃদ্ধির হাত থেকে রক্ষা করে।
উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু খুবই উপকারী ফল। লেবুতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে সক্ষম । লেবুতে উপস্থিত এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ।তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় লেবু রাখা প্রয়োজন।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে লেবুর খোসা খুব উপকারী। লেবুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বক থেকে টক্সিক পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। স্ট্রেস কমাতে লেবুর খোসার ভূমিকা অপরিসীম। লেবুর খোসা উপস্থিত রয়েছে সাইট্রাস বায়োফ্লাভোনোয়েড উপাদান যা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে । লেবু আমাদের খাদ্য হিসেবে খুবই উপকারী একটি ফল। তবে তার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যত্নে লেবুর গুনাগুন অপরিসীম। লেবুর প্রতিটি অংশই আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।লেবু মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।লেবুর রসে উপস্থিত রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ,ভিটামিন সি ,ম্যাগনেসিয়াম সহ আরো অনেক উপকারী উপাদান। যেগুলি চুলের যত্নে খুবই উপকারী। লেবুর রস দিয়ে হেয়ার প্যাক বানাতে পারেন এবং লেবুর রসের হেয়ার প্যাক চুলে ব্যবহার করলে চুল যেমন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে তেমনই চুল পড়া রোধ হবে ।
আরও পড়ুন - আখরোট খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
লেবু খাওয়ার অপকারিতা
প্রত্যেক খাবার যেমন ভালো গুন থাকে তার পাশাপাশি তাঁর পার্শপ্রতিক্রিয়া থাকে ।সেই অনুযায়ী লেবুর যেমন ভাল দিক রয়েছে তেমনি তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে । তাই অতিরিক্ত পরিমাণে লেবু খাওয়ার ফলে কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে নিম্নে তার বর্ণনা দেয়া হলো, এক নজরে দেখে নিন লেবুর আপকারিতা গুলি। লেবুতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অম্লীয় উপাদান যা ত্বকের পক্ষে উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহারের ফলে তার অপকারো দেখা দিতে পারে। যেমন: জ্বালাপোড়া। লেবুতে উপস্থিতি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রাস উপাদান ।যে সকল মানুষ সাইট্রাস ত্বকে ব্যবহার করে রোদ্দুরে যান। তাদের ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে ।তাই রোদ্দুরে বেরোনোর আগে কেউ লেবু স্ক্রিনে ব্যবহার করবেন না ।