কমলা খাওয়ার উপকারিতা
কমলা
অসম্ভব সুস্বাদু একটি
ফল । দেখা
মাত্রই সবার খেতে
মন চায় ।এটি
শুধুমাত্র সুস্বাদু বললে
ভুল হবে। কারণ
এতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল,
নিউট্রিয়েন্ট এন্ড রোগ
প্রতিরোধ করার ক্ষমতা।
আমরা সাধারন স্বাদের
জন্য এই ফলটিকে
খেয়ে থাকলেও ।এই
ফলটি খাওয়ার ফলে
আমাদের অনেক ধরনের
রোগ থেকে আমরা
বাঁচতে পারি ।
একটি কমলা আপনাকে
কি ধরনের রোগ
থেকে রেহাই দিতে
পারে ।আজকের এই
লেখাটি না পড়লে
আপনি অবশ্যই সে
সম্পর্কে জানতে পারবেন
না ।
কমলা খাওয়ার উপকারিতা |
ঔষধ সেবন :
বর্তমানে
আমরা বিভিন্ন ধরনের
রোগে আক্রান্ত হতে
থাকি। আর ছোট
বড় রোগের জন্য
আমরা ঔষধ সেবন
করে থাকি ।এই
ঔষধে যেমন উপকারিতা
রয়েছে তেমনই সাইডএফেক্ট
রয়েছে। আর সেই
সাইডএফেক্ট থেকে আপনাকে রক্ষা করতে
পারে কমলা নামের
এই ফলটি। শরীরের
ঔষধ গ্রহণের সাহায্য
করে কমলা ।
এই ফলের রস
ঔষধের বায়োকেমিক্যাল ও
সাইকোলজিকাল প্রভাব শরীরের
গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত
সুস্থ হতে সাহায্য
করে।
হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
কমলায়
আছে প্রচুর পরিমাণে
খনিজ উপাদান ।
যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ
করার পাশাপাশি নিয়মিত
রাখতে সাহায্য করে।
পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম
এর মত খনিজ
উপাদান গুলো শরীরে
সোডিয়াম এর প্রভাব
নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচন্দন
ঠিক রাখতে সাহায্য
করে ।কমলার চর্বিহীন
আঁশ সোডিয়াম মুক্ত
এবং কোলেস্টেরল মুক্ত
উপাদানগুলো হৃদপিণ্ড সুস্থ
রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক:
কমলা
এমন একটি খাবার
যা আপনার ক্যান্সারের
কোষ গুলোকে আপনার
শরীর থেকে নিমিষেই
দূর করে দিতে
পারে। কলায় প্রচুর
পরিমাণ ভিটামিন এর
পাশাপাশি রয়েছে আলফা
ও বিটা ক্যারোটিন
এর মত ফ্ল্যাভোনয়েড
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ
যা ক্যানসার প্রতিরোধ
করতে সাহায্য করে
। কমলার উচ্চমাত্রার
পুষ্টিগুণ
হচ্ছে
প্লাবনয়েড যা ফুসফুস
এবং ক্যাভিটি ক্যান্সার
প্রতিরোধে কার্যকর।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে:
বাজার থেকে কত
ধরনের প্রোডাক্ট কিনে
আনেন নিজের বয়সের
ছাপ লুকানোর জন্য
।কিন্তু ত্বকের সৌন্দর্য
তা এবং উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন
সি' দরকার ।আর
কমলাতে ভিটামিন-সি
প্রচুর পরিমাণে থাকে
।বয়স বাড়ার সঙ্গে
সঙ্গে আমাদের ত্বক
ও দ্রুত বুড়িয়ে
যেতে শুরু করে।
ভিটামিন সি ছাড়াও
কমলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ ত্বককে
সতেজ ও সজীব
রাখতে সাহায্য করে।
কমলাতে উপস্থিত বিটা
ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ
প্রতিরোধে সহায়তা করে
।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ :
কমলার
খোসায় চিনির পরিমাণ
নেই বললেই চলে
তাই এটার রক্তে
শর্করার মাত্রা প্রভাব
ফেলে। ডায়াবেটিস ও
মেটাবলিক সিনড্রোম রোগের
শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
রাখতে হয় ।তাই
কমলার পুষ্টিগুণ ডায়াবেটিকদের
জন্য উপকারী ।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করণে:
কমলায় পেকটিনের
পরিমাণ বেশ ভালো
।
আর
পেকটিন হলো আঁশ।
তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
করতে সাহায্য করে
। পেট ভরায়
ওজন না বাড়িয়ে
। কমলা আঁশটুকু
খুব
করে পেতে হলে
কেবল রস না
খেয়ে বরং এর
কোষের ওপর কারাবরণ
ও সুতার মত
জিনিস গুলো খেতে
হবে।
আরও পড়ুন - মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
চোখের জন্য :
কমলা ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ
উৎস। এগুলির মধ্যে
থাকা ভিটামিন-এ
চোখের
শ্লেষ্মা
ঝিলিক স্বাস্থ্যকর রাখতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে ।ভিটামিন এ
বয়স
সম্পর্কিত ভাস্কুলার প্যাথলজি
প্রতিরোধের জন্য দায়ী
। যা চরম ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে
অন্ধ করে দিতে
পারে । এটি
চোখে আলো শোষণে
সহায়তা করে।
বাতের ক্ষেত্রে :
ভিটামিন সি
রয়েছে । যা
একটি ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে
বিবেচিত হয় ।যার
জয়েন গুলোতে প্রদাহ
কমাতে সহায়তা করে
।
এগুলি ছাড়াও
ফিয়ানোটিয়েন্ট জ্যাক সেটিং এবং
বিটা ক্রিপ্টোক্যানথিনের জারণ
থেকে রক্ষা করতে
সহায়তা করে ।
এটি হাড় সম্পর্কিত ব্যাধিরেস্টিকটেড সৃষ্টি
করতে রক্ষা করে।