টাকা জমানোর উপায়

টাকা জমানোর সহজ উপায়

টাকা জমানোর ইচ্ছা আমাদের সবার থাকে কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এই টাকা জমাতে পারে না। কারণ অর্থ জমাতে গেলে খরচে সময় কিছুটা সতর্ক হতে হয় আবার নানা কৌশল প্রয়োগ করা যেতে পারে। আপনি যদি সত্যিকার অর্থে টাকা জমাতে চান তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য খুব কাজে আসবে। আজকের এই লেখাতে টাকা জমানোর কার্যকরী টি উপায় আপনাদেরকে জানাবো এই উপায় গুলো ফলো করলে আশা করি আপনার জীবনে কিছুটা হলেও উন্নতি হবে

 
টাকা জমানোর কৌশল,টাকা জমানোর উপায়,টাকা জমানোর উপায়,টাকা জমানোর সহজ উপায়,টাকা জমানো,টাকা জমানোর টিপস,টাকা জমানোর সহজ উপায়,টাকা জমানোর সহজ কৌশল,সহজে টাকা জমানোর উপায়,টাকা জমানোর সহজ পদ্ধতি,টাকা জমানোর,টাকা জমানোর সেরা উপায়,টাকা জমানোর উপায় কি,টাকা জমানোর টেকনিক,টাকা জমানোর পদ্ধতি,ছাত্রদের টাকা জমানোর উপায়,কিভাবে টাকা জমানো যায়,টাকা জমানোর জন্য কোন ব্যাংক ভালো,টাকা জমানোর নিয়ম,টাকা,টাকা জমানোর নিয়ম,টাকা জমানোর ব্যাংক,টাকা জমানোর উপায় ২০২২
টাকা জমানোর উপায়

.কোথায় কোথায় টাকা খরচ করেন তা জেনে নিন:

প্রতিমাসে আপনি কত টাকা ব্যয় করেন তা জানতে হবে। আপনার থাকা খাওয়া অন্যান্য খরচ কত হয় সেটা আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে এই খরচের খাত গুলো যদি আপনি সঠিকভাবে জানতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে কোথায় কোথায় খরচ কমানো যায় তা আপনি বুঝতে পারবেন প্রত্যেক সপ্তাহ শেষে হিসাব করুন যে প্রতিদিন আপনি কতটুকু খরচ করেছেন এতে আপনি আপনার সাপ্তাহিক খরচের হিসাবটা জানতে পারবেন এবং সপ্তাহে শেষে চেক করুন এই সপ্তাহে অপ্রয়োজনীয় খরচ কি করেছেন। তাহলেই দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো কমে যাচ্ছে।


.টাকা জমানোর মনোভাব গড়ে তুলুন :

টাকা জমানোর চেয়ে টাকা খরচ করার মধ্যে আমরা বেশি আনন্দ খুঁজে পাই টাকা জমানোর মনোভাব গড়ে তোলার জন্য নিজেকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখা বা এমন কিছু স্বপ্ন দেখা যা মন থেকে টাকা জমানোর নেশা হয়ে যাবে একটা বীমা বা ডিপোজিট স্কিম শুরু করুন সেটা আপনার সাধ্যমত করুন। পরিমাণ যত ছোটই হোক এটা করলে আপনার সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে উঠবে পরে এটি কি আপনি বাডিয়ে ফেলতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান বেছে নিবেন ডিপিএস করার জন্য আপনি কোন ব্যাংকে করতে পারেন বা আপনি চাইলে এখন বিকাশের মাধ্যমে ডিপিএস করতে পারেন। তবে দয়া করে কোন মাল্টিপারপাস ছোটখাটো যে  এনজিও গুলো আছে সব প্রতিষ্ঠানগুলো এড়িয়ে চলবেন


.ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সর্তকতা :

ক্রেডিট কার্ড আপনাকে সব সময় ঋণী করে রাখবে। তাই এই কার্ডটা ব্যবহার করবেন না খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটা আপনাকে বেশিরভাগ সময় শোধ দিতে হবে যা আপনার পকেট থেকেঅহেতুক টাকা বের করে নেওয়ার মতো তাই প্রয়োজন বুঝে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন


.ঋণ মুক্ত থাকুন: 

একদিক দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন অন্যদিক দিয়ে টাকা জমাবে এর সহজ মানে হচ্ছে ফুটো বালতিতে পানি ঢালা আপনি যদি বর্তমানে ঋণগ্রস্ত থাকেন তাহলে আমি যত দ্রুত সম্ভব ঋণ পরিশোধ করুন এবং পরবর্তীতে টাকা জমাতে মনোনিবেশ করুন।


.আপনার ব্যাংক একাউন্টে ব্যালেন্স বাড়াতে চেষ্টা করুন:

আপনার একাউন্টে টাকা থাকলেই যে খরচ করতে হবে এমন নয় খরচ করার আগে চিন্তা করুন আপনার জরুরী প্রয়োজন মেটানোর পরে একাউন্টে সর্বশেষ কত টাকা ছিল পরবর্তী মাসে সেটা বেড়েছে কিনা অর্থাৎ প্রতি মাসে জরুরী প্রয়োজন মিটিয়ে সামান্য হলেও একাউন্টে ব্যালেন্স বাড়াতে চেষ্টা করুন। এভাবে দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সটা বাড়তে থাকবে।


.কেনাকাটার আগে ভাবুন

আপনার কোন কিছু পছন্দ হয়েছে বলেই সেটা কিন্তু মন চাইতে পারে কিন্তু যে কোনো পছন্দের জিনিস কেনার আগে ভাবুন এটা না কিনলে আপনার কোন সমস্যা হবে কিনা বা এটি যে কাজে ব্যবহার করবেন সে কাজে আপনি অন্য কোন উপায়ে সারতে পারেন কিনা যদি না কিনে পারা যায় তাহলে অহেতুক কেন টাকা খরচ করবেন পৃথিবীতে পছন্দের শেষ নাই। তাই পছন্দ হলেই যদি কিনতে থাকেন তাহলে আপনার কেনা কখনোই শেষ হবে না।


.অন্যান্য খরচ কমান

আমরা কিন্তু আরো অন্যান্য অনেক ধরনের খরচ করে থাকি। যেমন :অতিরিক্ত বাইরে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন বর্তমানে আমাদের মধ্যে বাইরে খেতে যাও একটা ট্রেডিশন হয়ে উঠেছে আপনি যদি টাকা জমাতে চান বা ভবিষ্যতে আর্থিক স্বাধীনতা লাভ করতে চান তাহলে অতিরিক্ত বাইরে খাওয়া ত্যাগ করুন পোশাক ফ্যাশন এর খরচ কমান এই ক্ষেত্রে আমাদের খরচের একটা বিশাল অংশ টাকা জমাতে গিয়ে আমি বলব না যে আপনি কোন ধরনের কেনাকাটায় করবেন না। আপনি অবশ্যই কেনাকাটা করবেন আপনার প্রয়োজনীয় পোশাক-আশাক ক্রয় করবেন তবে তা যেন খুব অতিরিক্ত না হয়ে যায় ইলেকট্রনিক্স পণ্য খরচ কমানো। ইলেকট্রনিক্স পণ্যের প্রতি আমাদের সবার কমবেশি আসক্তি রয়েছে। আপনি যদি একটা কম দামি মোবাইল ব্যবহার করেন এবং এই কমদামি মোবাইল দিয়ে যদি আপনার যাবতীয় কাজ হয়ে যায় তাহলে নতুন মোবাইল কেনার শখকে আপাতত মাটিচাপা দিন আপনার মনকে বলুন আপনি একটা সময় নিজে এরকম একটা ব্র্যান্ড এর মালিক হবেন এটি টাকা জমানোর সুন্দর একটা মানসিকতা তৈরি করে নিত্য দরকারি জিনিস কেনাকাটা খরচ কমান কাঁচা বাজার বাদে নিত্য দরকারি জিনিসপত্র কেনার আগে চেষ্টা করুন দোকানে যাওয়ার আগে একটা লিস্ট করে নিন এবং আপনার কি কি জিনিস কিনতে হবে তা লিখে নিন এবং এই লিস্টের বাইরে অতিরিক্ত কোনো পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন আপনার বাসায় যদি কোন ব্যবহৃত জিনিসপত্র থাকে সেটা এখনই বিক্রি করে দিন তাহলে আপনার হাতে কিছু নগদ টাকা আসবে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন টাকা যদি আপনার হাতে আসে সেটা সাথে সাথে বিনিয়োগ করুন ধরুন আপনি চাকরি/ব্যবসা /উপহার হিসেবে কিংবা লটারিতে কোন একটা টাকার  পরিমাণ পেয়েছেন তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত যে টাকাটা আপনি পেলেন এক মুহূর্ত দেরি না করে সেটা সাথে সাথে কোথাও ডিপোজিট করে ফেলুন বিনিয়োগ করে ফেলুন। যদি অতিরিক্ত ভ্রমণের অভ্যাস থাকে সেটাও চাইলে কিছুটা কমিয়ে আনতে পারেন  


আপনি যদি টাকা জমিয়ে সত্যিকার অর্থে ধনী হতে চান তাহলে একাধিক আইয়ের পথের কোন বিকল্প নেই। যদি আপনার একাধিক আইয়ের পথ না থাকে তাহলে এখন থেকে একাধিক আর পথ খোঁজার চেষ্টা করুন এছাড়া আপনার আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে চাইলে টাকা এর পাশাপাশি বিনিয়োগ করা অব্যাহত রাখুন এই টিপসগুলো যদি আপনি ফলো করেন তাহলে দেখবেন ছয় মাস বা এক বছর পরে কিন্তু আপনার হাতে একটা ভালো পরিমাণে এমাউন্টের টাকা জমেছে এভাবে আস্তে আস্তে আপনার অভ্যাস গুলো পরিবর্তন করে ফেলুন যেটা ভবিষ্যতে আপনাকে আর্থিক স্বাধীনতা দেবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন