জাদুঘর অনুচ্ছেদ

জাদুঘর


যে প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বস্তুগত নিদর্শন। বিশেষ করে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও সামাজিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বস্তু) সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রদর্শন করে থাকে তাকে জাদুঘর বলা হয়। জাদুঘরে প্রাকৃতিক, শিল্পজাত, পুরাতত্ত্ব ইত্যাদি দ্রব্যসামগ্রী সংগ্রহ ও প্রদর্শন করা হয়। মানুষের শিক্ষা ও সংস্কৃতি উন্নীতকরণ এবং বিনোদনের উদ্দেশ্যে জাদুঘর কাজ করে। ছুটির দিনে বা শিক্ষামূলক সফরে শিক্ষার্থীরা জাদুঘরে বেড়াতে যায় জানার আগ্রহ নিয়ে সাধারণ লোকেরাও জাদুঘরে বেড়াতে আসে। বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন প্রকৃতির জাদুঘর গড়ে উঠেছে। যেমন প্রত্নতাত্ত্বিক, জাতিতাত্ত্বিক, তৃতাত্ত্বিক, প্রাণীতাত্ত্বিক, বিজ্ঞান ও শিল্প জাদুঘর। ভারত উপমহাদেশে জাদুঘরের সূচনা হয় ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটির অভ্যন্তরে। ১৮১৪-এ উপমহাদেশের প্রথম জাদুঘর কলকাতায় ভারতীয় সংগ্রহালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর ১৯১০-এ প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে। ১৯১৩-এ ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা জাদুঘর। ১৯৮৩-এ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা জাদুঘরের সপ্তাহসমূহ আত্তীকৃত করে। বর্তমানে বাংলাদেশের জাদুঘরের সংখ্যা প্রায় শ'খানেক। এর মধ্যে উল্লিখিত গুলো ছাড়াও উল্লেখযোগ্য হল বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর, উপজাতীয় সাংস্কৃতিক একাডেমি জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকা নগর জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, জিয়া স্মৃতি জাদুঘর, লালন জাদুঘর, হাছন রাজা জাদুঘর ইত্যাদি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন