গণমাধ্যম
একই সঙ্গে ব্যাপক সংখ্যক জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমকে গণমাধ্যম বলা হয়। গণমাধ্যমকে জনসংযোগের উপায় হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। বর্তমান বিশ্বে প্রচারিত গণমাধ্যমের মধ্যে জনপ্রিয় হল রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং চলচ্চিত্র। এছাড়া মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার-ইন্টারনেটও গৌণ গণমাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখছে। এসব গণমাধ্যম ব্যবহার করে অনেক দূরের মানুষের কাছেও খুব সহজেই বার্তা পৌঁছে দেয়া যায়। অবশ্য গণমাধ্যমের সহায়তায় জনগণের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ সংযোগ সম্ভব নয়। তাই তাৎক্ষণিক মতামতও পাওয়া যায় না। জনগণের ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তবে বিশেষ ব্যবস্থাধীন ক্ষেত্রবিশেষে তাৎক্ষণিক মতামত সংগ্রহের ব্যবস্থা করা যায়। গণমাধ্যম জনগণের বিনোদন মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। গণমাধ্যমে কোনো দেশ, সমাজ, গোষ্ঠীর শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটে। ফলে এক দেশের সংস্কৃতি অন্য দেশে পৌঁছে যায়। বর্তমান যুগে বিজ্ঞানের বদৌলতে শিক্ষা বিস্তারে বিশিষ্ট কয়েকটি 'ম্যাস মিডিয়া বা গণমাধ্যম আমাদের বিশেষ সহায়ক হতে পারে। এসব গণমাধ্যম হচ্ছে- সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন ও সিনেমা। যারা স্বল্পশিক্ষিত বা অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, সংবাদপত্র তাদের শিক্ষা বা জ্ঞানবুদ্ধির পুঁজিকে বাড়াবার শক্তি রাখে। আর রেডিও টেলিভিশন ও সিনেমা---এ তিনটি মাধ্যম দ্বারা সম্পূর্ণ নিরক্ষররাও উপকৃত হতে সক্ষম। বর্তমানে বিজ্ঞান-শিক্ষার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা ক্রমেই বিশেষ অর্থবহ হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন - কম্পিউটার অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অনুচ্ছেদ