দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাকরি জীবনেও আমাদের দরখাস্ত লিখতে হয়। আজকে আমরা দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানব।
দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি |
দরখাস্ত লেখার জন্য প্রথমেই একটি সাদা খাতা নিতে হবে, যার মধ্যে কোনো মার্জিন করা থাকবে না, কারন দরখাস্তের মধ্যে মার্জিন করা থাকলে সেটা গ্রহন করা হয় না। তাই আমাদের প্রথমে প্রয়োজন সাদা খাতা। তারপর খাতার ডানে এবং বামে সামান্য কিছু পরিমাণ ভাঁজ করে নিতে হবে । দরখাস্ত লেখার সময় সবগুলো লাইন সমান থাকতে হবে। এর জন্য পেজের বাম সাইডে ভালো করে ভাজ করে নিবেন।
যেভাবে দরখাস্ত লেখা শুরু করবেন
পেজের উপরে প্রথমে তারিখ লিখবেন, তারিখ এই শব্দটা উল্লেখ না করেও লিখতে পারেন শুধু ২০শে মে ২০২২ এই অংশটুকু উল্লেখ করেও আপনারা লিখতে পারেন। তারপর বরাবর এই শব্দটি উল্লেখ করবেন, তার নিচে যার কাছে আপনি দরখাস্তে লিখবেন তার পরিচয় উল্লেখ করবেন। অধ্যক্ষ মহোদয় অথবা প্রশাসনিক কারো কাছে লিখলে সে ক্ষেত্রে তাদের পরিচয় উল্লেখ করবেন, এর নিচে লিখবেন আপনারা আপনাদের প্রতিষ্ঠানের নাম। তার নিচে প্রতিষ্ঠানের সামান্য ঠিকানা অর্থাৎ যেখানে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত সেই ঠিকানা লিখবেন সামান্য। লেখার মধ্যে আপনার আবেদনের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে হবে। যেমন আমি লিখেছি বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদন । এরপর আপনি যেভাবে সম্বোধন করলে ভালো হয় সেভাবে আপনি সম্বোধন করে আপনার কথাগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করবেন। যাতে করে আপনার লেখাটি পড়ার মাধ্যমে যার কাছে আপনি দরখাস্তটি দিয়েছেন তিনি বুঝতে সক্ষম হন আপনি তার কাছে কোন জিনিসটি আবেদন করছেন। এতে করে আপনার দরখাস্তটি মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
কেননা আপনার ভাষা যদি সুন্দর না হয় তাহলে যার কাছে আপনি দরখাস্তে লিখছেন উনার মন চাইবে না আপনার দরকার মঞ্জুর করতে। তাই ভাষার বিষয়টি খুবই লক্ষণীয় এরপর সামান্য কিছু ফাকা দিয়ে এক লাইন পরিমাণ ফাকা দিয়ে নিচে অতএব লিখে আপনার দরখাস্তটি মঞ্জুর করার আবেদন বিষয়ের উপর সামান্য কিছু লিখে আপনি দরখাস্তুবি শেষ করবেন। এরপর আবার সামান্য কিছু ফাঁকা দিয়ে নিবেদক অর্থাৎ আপনার পরিচয়টি সংক্ষিপ্তভাবে
এখানে উল্লেখ করবেন। নিবেদকের পরে অবশ্যই আপনার একান্ত অনুগত / বাধ্যগত ছাত্র, এ ধরনের কিছুটা লেখার চেষ্টা করবেন এরপর আপনার নাম শ্রেণী এবং রোল নং দিয়ে দরখাস্তটি শেষ করবেন ।