১. খনা খায় করে শব্দ ,
অলক্ষী খুশী লক্ষী জব্দ।
অর্থ:
নীরবে খাদ্যগ্রহন করতে হয়।
২. দক্ষিণ দুয়ারী ঘরের রাজা,
পুব দুয়ারী তাহার প্রজা
পশ্চিম দুয়ারীর মুখে ছাই,
উত্তর দুয়ারীর খাজনা নাই।
অর্থ
: স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে দক্ষিণ দুয়ারী ঘর সবচে বেশী ভালো তারপর হচ্ছে পুব দুয়ারী
ঘর। পশ্চিম দুয়ারী এবং উত্তর দুয়ারী ঘর ভালো না।
৩.নিম নিসিন্দা যথা
,
মানুষ কি মরে তথা ।
অর্থ: নিম নিসিন্দা গাছ বাড়ীর জন্য অত্যন্ত ভালো।
৪. বক বকুল চাপা,
তিন পুতোনা
বাপা।
অর্থ: বক বকুল চাপা এই তিনটি গাছ একত্রে বুনতে নেই।
৫.অধিক খেতে করে আশ,
এর নাম বুদ্ধি নাশ।
অর্থ:
মাত্রারিক্ত খেলে বুদ্ধিনাশ ঘটে।
৬.ধানের গাছে শামুকের
পা,
বন বিড়ালী করে রা গাছে গাছে আগুল জ্বলে,
বৃষ্টি হবে খনায় বলে।
অর্থ: শামুক
ধান গাছ বেয়ে উপরে উঠতে থাকলে শিঘ্রই প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে।
৭.বিয়ানে আউলি বাউলি,
দুপুরে বাউ,
দিনে বলে খরানের ঘর যাও।
অর্থ:
সকালে মেঘলা আকাশ দুপুরে প্রবল বাতাস খরার লক্ষণ।
৮.চাঁদের সভায় বসে তারা,
জল পড়ে মুষল ধারা।
অর্থ:
চন্দ্রসভার ভেতরে তারা দেখা গেলে ধারায় মুষল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
৯.আমে ধান,
তেতুলে
বান।
অর্থ:
যে বছর আম বেশী ফলে সেবছর ধানও বেশী হয়। যেবছর তেতুল বেশী ফলে সে বছর ঝড় বন্যা বেশী
হয়।
১০.নারিকেল গাছে নুনে
মাটি,
শীঘ্র শীঘ্ৰ বাধে গুটি।
অর্থ: নারিকেল গাছের গোড়ায় লোনা মাটি দিলে নারিকেলের
ফলন ভালো হয়।
১১.আষাঢ় শ্রাবণে টুটে
পানি,
তার মর্ম পাছে জানি।
অর্থ:
আষাঢ় শ্রাবণ মাসে বর্ষা কম হলে পরে বন্যা হয়।
১২.তেল তামাকে পিত্ত
নাশ,
যদি হয় তা বারো মাস।
অর্থ:সারা
বছরতৈলাক্ত খাবারএবং তামাক সেবন করলে পিত্তের প্রভূত ক্ষতিসাধন হয়।
১৩.আহারান্তেচোখে জল,
দৃষ্টি শক্তির বাড়ে বল।
অর্থ:
খাবার পর চোখে জল ছিটানো চোখের জন্য ভালো।
১৪.সকালে সোনা,
বিকালে লোনা।
অর্থ:
সকালের স্নান উত্তম আর বিকেলে স্নান করলে ত্বক মলিন হয়ে যায়।
১৫.প্রভাত কালে উঠে যে
খাবে ঠান্ডা জল,
তাহার
ঘরে বদ্যি না যাবে কোন কাল।
অর্থ:
সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা জল পান করতে হয়।
১৬.বারো মাসে বারো ফল,
না খেলে যায় রসাতল।
অর্থ:
সব মৌসুমেই কিছু কিছু মৌসুমি ফল খেতে হয়।
১৭.জল খেয়ে ফল খায়,
যম বলে আয় আয়।
অর্থ:
জল খেয়ে ফল খেতে নেই।
১৮.খেতে বসলে কিসের দায়,
পাকনা ধান কি জলে যায়।
অর্থ:
নিশ্চিন্ত মনে আহার করা উচিত।
১৯.ভোরের
হাওয়া লাখ টাকার দাওয়া।
অর্থ:
লাখ টাকার ঔষুধের চাইতে ভোরের হাওয়া উপকারী।
২০.পুবে হাঁস পশ্চিমে
বাঁশ
উত্তরে বেড়ে(কলা) দক্ষিনে ছেড়ে
ঘর করগে পুতা জুড়ে।
অর্থ:
হাস মুরগীর খামার বাড়ীর পুব দিকে রাখতে হয় আর বাঁশ ঝাড় পশ্চিমে করতে হয় কলা বাগান
উত্তরে এবং দক্ষিণ দিক খোলা রাখতে হয়।
২১.জর ভিটায় তুলে ঘর,
যে আসে তারই জর।
অর্থ:
অপরিচ্ছন স্যাতসেতে জায়গায় ঘর করলে সে ঘরে অসুখ বিসুখ লেগেই থাকে।
২২.পীড়ে উঁচু মেঝে খাল,
তার দুঃখ চিরকাল।
অর্থ:
ঘরের মেঝে চারদিকের ভিটির চাইতে নিচু হলে সে ঘর স্বাস্থ্য সম্মত নয়।
২৩.মানুষ মরে যাতে,
গাছলা সারে তাতে।
পাছলা সারায় গাচলা সরে,
গোধুলা দিয়ে মানুষ মারে।
অর্থ:
যে স্থান মানুষ বাসের অযোগ্য সে স্থানে গাছ ভালো হয়। পচা দুর্গন্ধ মানুষের জন্য ক্ষতিকর
হলেও গাছের জন্য তা উপকারী।
২৪.শুক্লপক্ষে ফসল বুনে,
ছালায় ছালায় টাকা গুনে।
অর্থ:
চাঁদের শুক্লপক্ষে ফসল বুনলে ফলন ভালো হয়।
২৫. হাত বিশেক করি ফাঁক,
আম কাঠাল পুতে রাখ।
অর্থ:
বিশ হাত ফাঁক করে আম কাঁঠাল গাছ না বুনলে গাছে ভালো ফল আসে না।
২৬.ঘোল কুল কলা,
তিনে নাশ গলা।
অর্থ:
গলার অসুখ হলে ঘোল কুল ও কলা খেতে নেই।
২৭.মাংসে মাংস বৃদ্ধি,
ঘৃতে বৃদ্ধি বল দুগ্ধে বীর্য বৃদ্ধি,
শাকে বৃদ্ধি মল।
অর্থ:
মাংস খেলে মাংস বাড়ে, ঘিয়ে শক্তি বাড়ে, দুধে বীর্য বাড়ে এবং শাক খেলে মল বৃদ্ধি
হয়।
২৮.পুত্র ভাগ্যে যশ,
কন্যা ভাগ্যে লক্ষী!
অর্থ:
পুত্র হলে সে তার শক্তিমত্তা দিয়ে পরিবারের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে।
কন্যা বাড়ীর হাল ধরে প্রশান্তচিত্ত নিশ্চিত করবে।
২৯.শাক অম্বল পান্তা,
তিনো অসুখের হন্তা।
অর্থ:
অসুখ হলে শাক অম্বল এবং পান্তা খেতে নেই।
৩০.ক্ষেতের কোনা,
বাণিজ্যের সোনা।
অর্থ:
কৃষিকাজ বাণিজ্যের থেকে উত্তম।