সজনে ডাটা খাওয়ার উপকারিতা

হাজার হাজার টাকা দিয়ে ঔষধ না খেয়ে ডাক্তারের পিছনে না ছুটে বরং নিজেই নিজের চিকিৎসক হয়ে উঠুন। কিভাবে? খুব সহজে শুধুমাত্র এই খাবারটি খাওয়ার মাধ্যমে। এই খাবারকে বলা হয় সুপার ফুড এবং সর্ব রোগের মহাঔষধ। সর্ব রোগের মহাঔষধ বলার কারণ হলো এটি আপনার কফ জনিত  যেকোন রোগকে দূর করে। যেকোনো ব্যথা জনিত রোগ কে দূর করে। এমনকি আপনার থাইরয়েড গ্ল্যান্ড যাতে ঠিকমত কাজ করতে পারে সে খেয়াল রাখে। অন্যদিকে আপনার গলব্লাডার, লিভার, কিডনি, হার্ট সবকিছুকে ঠিক রাখে। এই খাবারটি খেলে আপনার কখনো কোল্ড এলার্জি হবে না। আপনার শরীরে কখনই র ্যাশ অ্যালারজি  হবে না। আরো আছে এখানেই শেষ নয়। এই খাবারের গুণাগুণ এতটাই বেশি এতটাই উপকারী, যে যখনই আপনি এর উপকারের কথা সবগুলো জানবেন। তখন আজই আপনার মনে হবে যে বাজার থেকে এটি  কিনে এনে আপনি তখনই এটি খাওয়া শুরু করবেন। কিভাবে খাবেন? রান্না করে খাবেন নাকি ওষুধের মতো খাবেন আয়ুর্বেদিক নিয়মে। যে রোগের জন্য আপনি খাচ্ছেন  বা যে রোগ দূর করার জন্য আপনি খাচ্ছেন। তার উপরে নির্ভর করছে যে আপনি কিভাবে খাবেন। এই সমস্ত তথ্য জানতে অবশ্যই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন।


সজনে পাতার উপকারিতা,সজনে ডাটার উপকারিতা,সজনে ডাটা,সজনে ডাটার উপকারিতা কি,সজনে ডাটা খাওয়ার উপকারিতা,সজনে ডাটার গোপন উপকারিতা,সজনে ডাঁটার উপকারিতা,সজনে ডাটার অপকারিতা,সজনের উপকারিতা,সজনে পাতা,সজনে ডাটার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা,সজনে ডাটার গুনাগুন,#সজনে খাওয়ার উপকারিতা,সজনে ডাঁটা খাওয়ার উপকারিতা,সজিনা পাতা খাওয়ার নিয়ম,সজনে পাতার গুনাগুন,সজিনা পাতার উপকারিতা,সজনে ডাটা খাওয়া উপকারীতা,সজনে ডাঁটা খাবার উপকারিতা কী?,সজনে ডাটার পুষ্টিগুণ,সজনে ডাঁটা
সজনে ডাটার উপকারিতা

এই যে ছবিতে সজনে ডাঁটা দেখছেন এটা  রান্না করে খাওয়ার জন্য এই ভাবে কাটতে। যদি কেউ সজনে ডাঁটা ওষুধের মতো করে খেতে চান। তবুও এই ভাবেই কেটে নিতে পারেন। কিভাবে তৈরি করবেন এই সজনে ডাটার ঔষধ সেটা জাননু। কিন্তু তার আগে জানুন যে সজনে ডাঁটায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আরো আছে আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। সজনে ডাটা আপনার হাড় শক্ত করে এবং হাড়ের ভঙ্গুরতা  থেকে আপনাকে বাঁচায়ে।  হাড্ডির ব্যাথা ব্যথা ,জয়েন্টের  ভেতরে যে ব্যথা সেই ব্যথা কেউ দূর করতে পারবে। আবার রক্ত পরিশুদ্ধ করবে। এমনকি আপনার দেহের রক্ত বাড়িয়ে দেবে। 


এছাড়াও সজনে ডাটার মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। ফলে আপনার দেহের যে কোনো ধরনের ভাইরাস খুব বেশি রোগ ছড়াতে পারে না যদি আপনি সজনে ডাঁটা নিয়মিত খান। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে আপনার শরীরকে সুস্থ করে তুলবে। এমনকি গলায় ,বুকে এবং ত্বকের সংক্রমণ থেকে আপনাকে বাঁচাবে। হজমশক্তিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। কারণ এটি পুরোটাই আঁশসমৃদ্ধ খাবার। প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকার কারণেই সজনে ডাঁটা নিয়মিত খেলে আপনার দেহের  মেটাবলিজম রেট অত্যান্ত বেড়ে যাবে। তাই আপনার মেদ চর্বি ও গলতে শুরু করবে এবং আপনার বডি আগের থেকে অনেক বেশী স্ট্যামিনা পাবে।যারা এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ খান বিশেষ করে ঠান্ডা, কফ, কাশির সমস্যা যাদের থাকে, যাদের ঘন ঘন হাঁচি হয়, নাক দিয়ে পানি পড়ে এমনকি যাদের শ্বাস কষ্ট রয়েছে তারা নিয়ম করে সজনে ডাঁটা খাবেন। 


সজনে ডাঁটা খেলে আপনার এই ধরনের সমস্যা একেবারেই চলে যাবে। কারণ এর ভেতরে অ্যান্টিহিস্টামিন গুণ রয়েছে। সজনে ডাঁটা খেলে আপনার দেহের হিস্টামিন তৈরির প্রবণতা অনেক বেশি কমে যায় আর এই কারণে আপনার ঠান্ডা ,কফ, কাশির সমস্যা চলে যায়। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই কারণে আপনি যদি সজনে ডাঁটা খেয়ে নিজের এই ধরনের রোগ দূর করতে পারেন সঙ্গে শ্বাসকষ্ট কেউ দূর করতে পারেন তাহলে এই রোগগুলো কিন্তু কখনো আর হবেনা ।বরং আপনার দেহের র ্যাশ , চুলকানি ,অ্যালার্জি একেবারে চলে যাবে। সেই সঙ্গে আপনার হার্ট অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। 


সজনে ডাটার নিয়মিত খেলে আপনার হার্টের স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা থাকেনা। সজনে ডাঁটায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা দেহের খারাপ কোলেস্টেরলের দেহ থেকে বের করে দিতে পারে। একই সঙ্গে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। কাজেই সজনে ডাঁটা আপনার হার্টকে একেবারেই সুরক্ষিত করে তোলে। সজনে ডাঁটা খেলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থেকে আপনি বাঁচবেন। এটি ব্রেইনের‌ কার্যক্ষমতাকে যেমন ঠিক ভাবে চলতে সাহায্য করে। তেমনি কখনো যদি আপনার মাথায় গভীর আঘাত লাগে অথবা ব্রেন ইনজুর্ড হয়। সেক্ষেত্রে আপনি সজনে ডাঁটা খেলে খুব দ্রুত রিকভারি করতে পারবেন। 


মেয়েদের একটি সমস্যা থাকে যে জরায়ুতে যেকোনো ধরনের সিস্ট হয়। যদি এই ধরনের সিস্ট আপনার ধরা পড়ে আপনি অবশ্যই নিয়ম করে। আপনি অবশ্যই সজনে ডাঁটা খাবেন। নিয়ম করে সজনে ডাঁটা খেলে এই ধরনের সিস্ট হওয়ার প্রবণতা একেবারেই চলে যাবে। মানবদেহের টিউমার বা আলসার এই ধরনের সমস্যা গুলো অনেকেরই হয়। যদি আপনার অত্রে টিউমার হয় বা আলসার হয়। তাহলেও আপনি এই সজনে ডাঁটা খাবেন। সজনে ডাঁটা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং সজনে ডাঁটা খেলে অবশ্যই আপনার দৃষ্টি শক্তি কখনো কমে যাবে না। রেটিনা সুস্থ রাখতে কাজ করে এই ডাঁটা। জন্ডিস ধরা পড়লে অবশ্যই সজনে ডাঁটা খাবেন। সজনে ডাঁটা খুব দ্রুত বুলুভিনকে  স্বাভাবিকে নিয়ে আসে। এছাড়া সজনে ডাঁটা সবসময় আপনার গলব্লাডারকে সুস্থ রাখবেন। 


আজকাল অনেকেই শোনা যায় যে গলব্লাডার অপারেশন করতে হয়েছে। গলব্লাডার দেহের কোন কাজে লাগে না। এমন কথা আধুনিক ডাক্তাররা বলে থাকেন। কিন্তু গলব্লাডার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আপনার দেহের জন্য। গলব্লাডার সারাজীবন ঠিকমতো যাতে কাজ করতে পারে এই  কারণেই আপনি সজনে ডাঁটা খাবেন। সজনে ডাঁটা সর্বোপরি আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেহের প্রতিটি অঙ্গের সুস্থতা নিশ্চিত করে। এবার আসি সজনে ডাঁটা আপনি কিভাবে খাবেন। সোজা কথা হলো , সজনে ডাঁটা আপনি রান্না করে খেতে পারেন। খুব বেশি সময় ধরে রান্না করবেন না। এতের ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায় এবং সজনে ডাঁটা যদি অধিকখন করেন। তাহলে কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কমে যায়। কাজেই খুব অল্প সময় ঢেকে দিয়ে ১০ থেকে ১২ মিনিটের মধ্যে সজনে ডাটা রান্না শেষ করবেন। এবার আসি ঔষধের মত করে কিভাবে খাবেন।  ঔষধের মত খেতে চাইলে সজনে ডাঁটায় এইভাবে উপড়ে আঁশটা ফেলে দিয়ে আপনি এটা কি শুকিয়ে নিতে পারেন। অথবা আপনি সজনে ডাঁটা এইভাবে থেঁতো করে এর রসটা বের করে খেতে পারেন। কাঁচা অবস্থায় যদি সজনে ডাটার রস খান তাহলে তা ওষুধের মতো কাজ করে। এবারে ঔষধ এর মত করে খাবার জন্য দুটি ফর্মুলা বলবো।

 

ফর্মুলা নাম্বার ১.

 সজনে ডাঁটা  গুলো একেবারে আঁশসহই সম্পূর্ণ অবস্থাতেই রোদে শুকিয়ে নিন। শুকানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নেবেন। পরিষ্কার করে সজনে ডাটার শুকিয়ে এটাকে আরো একবার ভালো করে মুছে পরিষ্কার করে। তারপরে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। এই সজনে ডাটার সম্পূর্ণ অংশের গুঁড়ো আপনি কাঁচের জারে ভরের সংরক্ষণ করতে পারেন এবং সেখান থেকে মাত্র ১ টেবিল চামচ করে দুই গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে এক গ্লাস থাকতেন নামিয়ে এটা ছেঁকে পান করুন। রোগের তীব্রতা বেশি থাকলে সকাল বিকাল দুই বেলা পান করতে পারেন।

 

 

 এবার‌  আসি ফর্মুলা নাম্বার ২.

 দুই নাম্বার ফর্মুলায় ওষুধের মতো করে খাওয়ার জন্য সজনে ডাঁটা এরকম ছোট করে আঁশ ছাড়িয়ে নিয়ে এটা ক্ষেত্রে থেঁতলে এর থেকে রস বের করে নিন। অর্থাৎ এটা পিসে এর ভেতরের রস নিংড়ে নিতে হবে। এর রস  মাত্র ১০এমএল করে সকালে এবং ১০এমএল করে বিকেলে খান।

 

ঐ উভয় ধরনের ঔষধি খাবারের আধাঘন্টা আগে খেতে হবে এবং এইভাবে আপনি কতদিন খাবেন? মাত্র ১৪ দিন পর্যন্ত সেবন করবেন এই রোগগুলো দূর করার জন্য। তবে যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা কিন্তু লাগাতার ছয় মাসও খেতে পারেন সজনে ডাঁটা। যেকোনো একটি প্রসেসে খেলেই হবে। আবার যারা রান্না করে খেতে চাচ্ছেন তারা খুব ভালো উপকার পাবেন। সেক্ষেত্রে রান্না করার সময় জাতের গুণগত মান বজায় থাকে সেদিকটায় শুধু খেয়াল রাখবে। এমন কোন রোগ আছে যেখানে সজনে ডাঁটা খাওয়া যাবেনা?  আশা করি, এমন কোন রোগ নেই। কারণ একেবারে গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে মহিলাদের যে কোন গোপন রোগের সমাধান এবং আপনার পেটের যেকোনো ধরনের গন্ডগোল প্রতিরোধের সজনে ডাঁটা একইভাবে কাজ করে। কাজেই সজনে ডাঁটা যেকোনো বয়সের যে কোন মানুষ খেতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন