প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ আমাদের আজকের আর্টিকেলের ভিতরে আপনাদের সাথে আমি প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম এবং  এই বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা আছে সেই বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সাথে বলবো। আপনারা যদি জানতে চান কিভাবে একটি প্রত্যয়ন পত্র লিখতে হয় বা একটি প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনারা যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়েন।

 

তাহলে আশা করি যে প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের আর কোন সমস্যা থাকবে না। আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ার পরে আশা করি যে এরপর থেকে যে কোন প্রত্যায়ন পত্র নিজে থেকেই লিখতে পারবেন। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক যে কিভাবে একটি প্রত্যয়ন পত্র লিখতে হয় একটি প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম। 


প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম,প্রত্যয়ন পত্র নমুনা pdf,স্কুল প্রত্যয়ন পত্র নমুনা,প্রত্যয়ন পত্র নমুনা,প্রত্যয়ন পত্র pdf,অফিস প্রত্যয়ন পত্র,প্রত্যয়ন পত্র ইংলিশ,চাকরির প্রত্যয়ন পত্র,প্রত্যয়ন পত্র,প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম,প্রত্যয়ন পত্র pdf format,প্রত্যয়ন পত্র চেয়ে আবেদন লেখার নিয়ম,প্রত্যয়ন পত্র কি,ফার্মেসি কোশ্চেন প্রত্যায়ন পত্র লেখার নিয়ম,চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন পত্র,স্কুল প্রত্যয়ন পত্র,কি ভাবে প্রত্যয়ন পত্র লিখবেন,প্রত্যয়ন পত্র ডুপ্লিকেট
প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

প্রত্যায়ন পত্র কিভাবে লিখতে হয় বা প্রথম পত্র লেখার নিয়ম এই বিষয়ের সম্পর্কে জানা থাকে আপনাদেরকে জানতে হবে যে প্রত্যয়ন পত্র আসলে কি এটা দিয়ে কি করে আসুন তাহলে সে সম্পর্কে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক।

 

প্রত্যয়ন পত্র কি ? (প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম)

 

প্রত্যয়ন পত্র হলো আপনি কোন প্রতিষ্ঠান অধ্যায়নরত ছিলেন আর তারপরে আপনাদেরকে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে একটি ডকুমেন্ট প্রদান করা হবে যেটা ওই উক্ত প্রতিষ্ঠানে থেকে প্রদান করা হবে । তারপরে  আপনারা  সেই ডকুমেন্টে দিয়ে মানে যে প্রত্যয়ন পত্র টি আপনাকে প্রদান করা হবে সেটি দিয়ে আপনারা পরবর্তী স্টেপে উত্তীর্ণ হতে পারবেন। আশা করি যে এই বিষয়টা আপনারা একদম ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছেন যে প্রত্যয়ন পত্র কি এবং এটা দিয়ে কি করে এবং কি কাজে লাগে। 

 

প্রত্যয়ন পত্র কত প্রকার(প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম)

 

প্রত্যয়নপত্র অনেক প্রকারের হয়ে থাকে নিচে গুলোর একটি লিস্ট দেওয়া হল সেখান থেকে আপনারা আপনাদের দরকারি প্রত্যয়ন পত্র টি সিলেক্ট করে নিতে পারেন। 

 

·       উত্তরাধিকার সনদ

·       মৃত্যু সনদ

·       জাতীয়তা সনদ

·       ভুমিহীন সনদপত্র

·       চারিত্রিক সনদ

·       উপজাতি সনদ

·       মুক্তিযোদ্ধা সনদ

·       এতিম সনদ

·       বিবাহিত সনদ

·       অবিবাহিত সনদ

·       বেকারত্ব সনদ

·       পুনঃর্বিবাহ সনদ

 

এখানে প্রতিটা  প্রত্যয়ন সনদ এর আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে , আর প্রত্যেকটি প্রত্যয়ন পত্র একই গঠনের তৈরি করা হয়ে থাকে। প্রত্যয়ন পত্র আলাদা ব্যক্তি কর্তৃক সত্যায়ন  করা হতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে প্রত্যায়ন কোন নির্দিষ্ট এরিয়ার সত্তা কর্তৃক সত্যায়িত  করা হতে পারে। যেমন মনে করুন যে-

 

 

চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন পত্র

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রত্যয়ন পত্র

চারিত্রিক সনদ

বিবাহিত সনদ

অবিবাহিত সনদ

বেকারত্ব সনদ

পুনঃ বিবাহ সনদ

ভূমিহীন সনদ

চারিত্রিক সনদ

উপবৃত্তি সনদ

আর্থিক সহযোগিতা 

সনদ

 


প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

 

সাধারণত ভাবে  দেখা যায় যে একটি পত্রের ৬টি অংশ থাকে প্রত্যয়ন পত্র মূলত আসলে একটি পত্র তাই এরো ৬টি অংশ  অবশ্যই থাকবে , তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর আমি আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে জন্য নিচে  প্রত্যয়ন পত্রের ছয়টি অংশ উল্লেখ  করে দিয়েছি ভালোভাবে দেখে নিন। 

 

প্রত্যয়ন পত্র  এর জন্য আবেদন করার নিয়ম জেনে নিন 

 

আপনারা যদি কোন স্কুল কলেজ অথবা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থেকে থাকেন তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান হতে অন্য প্রতিষ্ঠানের যাওয়ার জন্য ওই প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র চেয়ে কিভাবে আবেদন লিখতে পারবেন। মূলত আবেদনপত্র লেখার নিয়ম এর মত প্রত্যয়ন পত্র তাদের কাছে চাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট একখানা দরখাস্ত আপনাদেরকে লিখতে হবে। আর তা হলে দেখা যাবে যে সেই প্রতিষ্ঠানে থেকে আপনাকে প্রত্যায়ন পত্র প্রদান করবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

 

 

·       প্রত্যয়ন পত্র লিখতে হলে  সব সময়তেই আপনাদেরকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো যে নির্দিষ্ট একটা প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তি  কিংবা সংগঠনের প্রচলিত প্যাডে  প্রিন্টেড অথবা লিখিত  হওয়া লাগবে। 

·       পত্রের শিরোনামে প্রত্যয়ন পত্র  এই লেখাটি অবশ্যই বিদ্যমান থাকা লাগবে বিদ্যমান  থাকা লাগবে। 

·       আপনারা যে ব্যক্তির প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করে দেওয়া হবে তার সম্পূর্ণ নাম ঠিকানা পত্র সেটার ভিতরে উপস্থিত অবশ্যই থাকা লাগবে।

·       পত্রের মূল অংশ  দুইটি ভাগে বিভক্ত থাকা লাগবে আর যেটার মাধ্যমে পত্রের ভাব অর্থ প্রকাশিত  করা হবে। 

·       তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তির নাম আর স্বাক্ষর থাকা লাগবে। 

·       প্রত্যয়ন প্রদানকারী ব্যক্তি , সংগঠন  অথবা প্রতিষ্ঠান  সিল  অবশ্যই থাকতে হবে। 

 

স্কুলের প্রত্যয়ন পত্র যদি লাগে তাহলে যেভাবে আবেদন করবেন

 

আপনারা যদি কোন একটা স্কুলে পড়েন এবং সেই স্কুল থেকে যদি আপনারা পরিবর্তন করে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অন্য স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে  ভর্তি হওয়ার জন্য চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাদেরকে আগের স্কুল থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণ করা লাগবে বা তাদের কাছ থেকে প্রত্যয়ন পত্র কি আনতে হবে। আর তারপরে প্রত্যয়নপত্র তিনি পরবর্তী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট  প্রধান করে দিলে তারপরে সেই সাপেক্ষে ওই স্কুলে ভর্তি হতে পারবেন। আমি আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য  প্রত্যয়ন পত্র একটি ফরমেট  লিখে দিলাম সেটাকে ভালোভাবে লক্ষ্য করুন । 

 

তারিখ:০৩.২৭,২০২২ (এখানে তারিখ  বসাবেন আপনারা যে তারিখে প্রত্যয়ন পত্র এর জন্য আবেদন করবেন সেদিন যে তারিখ হবে সেই তারিখটা এখানে বসিয়ে দিবে তাহলেই হয়ে যাবে) 

 

এই  মর্মের  ভিতর  প্রত্যয়ন করা হচ্ছে যে, নাম:(এখানে আপনার নাম দিবেন ),পিতার নাম:( এখানে আপনি আপনার পিতার নাম দিবেন ),মাতার নাম:( তারপরে এই মাতার নাম লেখার উপরে আপনার মায়ের নাম লিখে  দিবেন ) আমার্ বিদ্যালয়ের সে একজন  আদর্শ  ছাত্র   হিসেবে  বিদ্যা অর্জন করেছেন।  আমি তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য দোয়া করি এবং সে তার জীবনে যদি সফল হতে পারে  তার জন্য সফলতা কামনা করি। 

 

সাক্ষর: এখানে স্বাক্ষর বসিয়ে দিবেন। 

সিলমোহরঃ এখানে  সিলমোহর বসিয়ে দিবেন।

 

কলেজে থেকে যদি প্রত্যয়নপত্র নিতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে যে ভাবে আবেদন করতে পারবেন সেটা নিচে দেওয়া হল -

 

আপনার কলেজের পাঠ সমাপ্ত করার পরে আপনারা যদি  পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণ  করা লাগবে । কলেজ  থেকে আপনাদেরকে যে  প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করবে তার হুবুহুব নমুনা  আমি  নিচে  তুলে ধরলাম । 

 

তারিখ:০৮.১৪.২০২১ (এখানে যেদিন আপনাদেরকে প্রত্যায়ন পত্র প্রদান করা হবে সেটা বসানো  থাকবে ) 

 

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা হচ্ছে যে নাম:( এখানে আপনার নাম থাকবে),পিতার নাম:(এখানে পিতার নাম থাকবে),মাতার নাম:( এখানে আপনার মায়ের নাম দেওয়া থাকবে ) আমার বিদ্যালয়ের একজন আদর্শ ছাত্রী  হিসেবে  আমাদের কলেজে বেশ কৃতিত্বের  সঙ্গে বিদ্যা অর্জন করতে পেরেছে আর তার  অর্জিত ফলাফল বেশ সন্তোষজনক।   আর তার সাথে আমি তার জন্য  ভবিষ্যৎ জীবনের সফলতা কামনা করছি সেই  সঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত  করতেছি যে সে নিজের  এবং পরিবারের ও  প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি  করতে পারে । 

 

সাক্ষর: (এখানে  স্বাক্ষর বসানো থাকবে ) 

সিলমোহরঃ( আর এখানে সিলমোহর  দেওয়া থাকবে  )

 

 

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি প্রত্যয়নপত্র নিতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে কিভাবে আবেদন করবেন নিচে দেওয়া হল 

 

আপনারা যখন  বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত  করে ফেলবেন তখন কিন্তু দেখা যাবে যে আপনাদের চাকরির ক্ষেত্রে প্রবেশ করার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই ১টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করে থাকবে। আর আপনাদেরকে সেই  প্রত্যায়ন পত্র দিয়ে কিন্তু যেকোনো ধরনের চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে যাবেন খুব সহজে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র  প্রদান করার নমুনা মিনিটে আপনাদের সাথে তুলে ধরলাম।

 

তারিখ:০৩.২৭.২০২২ 

 

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা হচ্ছে যে ,নাম:(এখানে আপনার নাম থাকবে),পিতার নাম:( এখানে আপনার পিতার নাম থাকবে ),মাতার নাম:(এখানে আপনার  মাতার  নাম থাকবে) সে আমার  বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কৃতিত্বের সঙ্গে  তার স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন  আছে । 

 

আর আমি তার ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্য কামনা  করতেছি এবং তার সাথে সাথে আশাবাদ ব্যক্ত করছি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। 

 

সাক্ষর:

সিলমোহরঃ

 

 

 

 

কোম্পানির প্রত্যয়ন পত্রের জন্য কিভাবে আবেদন করবেনন

 

আপনারা যদি কোন কোম্পানীর সাথে কর্মরত থাকেন তাহলে সেই কোম্পানিটি পরিবর্তন করে  তারপরে অন্য একটা কোম্পানিতে অথবা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ  পেয়ে যান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাদের আগের কোম্পানি থেকে আপনাদেরকে অবশ্যই একটা  প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণ  করা লাগবে। বর্তমান সময়ে  এখন কিন্তু কোম্পানিটির প্রধান আপনাকে ১টি প্রথম পত্র প্রদান  করে দিবে। নিচে আমি আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র টি তুলে ধরলাম। 

 

তারিখ: ( এখানে তারিখ বসিয়ে দিবে ) 

 

এই মর্মে প্রত্যায়ন করা হল যে ,নাম:( এখানে আপনার নাম দেওয়া থাকবে),পিতার নাম:(এখানে  আপনার পিতার নাম দেওয়া থাকবে ),মাতার নাম:( এখানে আপনার মাতার নাম দেওয়া থাকবে ) তিনি  ১ জন নিষ্ঠাবান আর দায়িত্ববাদ কর্মী হিসাবে আমাদের কোম্পানিতে  বেশ কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এসেছিলেন এতদিন ধরে। 

 

আর তিনি ভবিষ্যতে যাতে অন্য কোম্পানিতে যাবেন  সেই কোম্পানিতে ও যাতে সে তার তার প্রতি অর্পিত  সকল ধরনের  দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার  সঙ্গে সম্পাদন করতে পারে সেটা বলে এখানে ব্যক্ত করা হল।

 

স্বাক্ষরঃ 

সিলমোহরঃ 


আর পড়ুন - 


আমাদের শেষ কথা 

আমাদের জীবনের অনেক  কাজ করার সময়  দরকার হয়ে থাকে  একটি প্রত্যয়ন পত্রের। আর এর মাধ্যমে কিন্তু আমরা  নির্ভর করে  থাকি আমাদের জীবনের অনেক কিছু।

 

আর তাই আমি আশা করি যে আমাদের আজকের এই আলোচনার ভিতরে আপনারা  প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর যেটা  নমুনা কপি আপনাদেরকে ভবিষ্যৎ জীবনে প্রত্যয়ন পত্র লেখতে  সাহায্য করে থাকবে। আর আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম আরও অনেক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলো সবার আগে পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। সকলে ভাল থাকুন।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন