সেরা ২৫ ক্ষনার বচন:
ফাল্গুনে আগুন
চৈতে মাটি,
বাঁশ বলে
শীঘ্র উঠি।"
মেঘ করে রাত্রে
হয় জল।
তবে মাঠে
যাওয়াই
বিফল।।
আমি লাগাই
দাম লাগাই
কাঁঠাল সরি সরি-
বারো মাসের বারো ফল
নাচে জড়াজড়ি।
যদি বর্ষে
কতি,
রাজা বাঁধে
হাতি।
যদি থাকে
টাকা
করবার গোঁ।
চৈত্র মাসে
ভুট্টা দিয়ে রো।।
বৎসরের প্রথম
ঈশানে বয়,
সে বৎসর বর্ষা হবে
খনা কয়।
খনা ডাকিয়া
কয়,
রোদে ধান ছায়ায়
পান।
আকাশে কোদালীর
বাউ।
ওগো শ্বশুড়
মাঠে যাও।।
মাঠে গিয়া
বাঁধো আলি।
বৃষ্টি হবে
আজি কালি।।
খনা বলে
গুন কৃষকগণ
হাল লয়ে মাঠে
বেরুবে তখন
শুভ দেখে করবে মাত্রা
না শুনে কানে
অশুভ বার্তা।
ক্ষেত্রে গিয়ে কর দিক নিরুপণ,
পূর্ব দিক হতে
হাল চালান
নাস্তিক সংশয় হবে ফলন।
যে চাষা খায়
পেট ভরে।
গরুর পানে চায় না
ফিরে।
গরু না পায়
ঘাস পানি।
ফলন নাই তার হয়রানি।।
আষাঢ়ে পানি।
তলে দিয়া গেলে সার।
উপরে দিয়া গেলে ক্ষার।।
মাঘে
মুখী,
ফাল্গুন
চুখি,
চৈতে লতা,
বৈশাখে পাতা।
গোবর দিয়া
কর যতন,
ফলবে দ্বিগুণ
ফসল রতন।
শীষ দেখে
বিশ দিন,
কাটাতে কাটাতে
দশদিন।
ওরে বেটা
চাষার পো,
ক্ষেতে ক্ষেতে শালী রো।
আউশের
ভুই ফেলে,
পাটের ভুঁই
আকাশে
উনো বর্ষায়
দুনো শীত।
বাড়ীর কাছে
ধান পা,
যার যার
আগে ছা।
চিনিস বা না
চিনিস,
ঘুঁজি দেখে
কিনিস।
ফাল্গুন না রুলে
ওর
শেষে হয়
গন্ডগোল।
তপ্ত
অম্ল
ঠান্ডা দুধ
যে খায় সে
নির্বোধ।
গোল, কুল, করা
তিনে নাশে
গলা।
ভাদ্র আশ্বিনে
বহে ঈশানে,
কাঁধে কোদালে
নাচে কৃষাণ।
পূর্ণিমা অমাবস্যায়
যে ধরে হাল,
তার দুঃখ হয়
চিরকাল।
যার বলদের হয়
বাত,
তার ঘরে না থাকে
ভাত।
খনা বলে
আমার বানী,
যে চাষি তার হবে জানি।
আম নিম
জামের ডালে
দাঁত মাজাও
কুতুহলে।
দিন থাকতে
বাধেঁ আল।
তবে খায় তিন
শাল।
বারো পুত
তেরো নাতি।
তবে করো বোরো খেতি।।
গরুর পিঠে
তুললে হাত।
গিরস্থে কভু পায় না
ভাত।
গাই দিয়া বায় হাল
দুঃখ তার
চিরকাল।