পৃথিবীর বিভিন্ন গোপন সংগঠন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নাম ইলুমিনাটি (Illuminati)। আমরা যেমন বায়ু সমুদ্রে ডুবে আছি কিন্তু তা বিশ্বাস করে অনুভব করছি না। ঠিক একইভাবে ইলুমিনাটির ষড়যন্ত্রে আমরা হাবুডুবু খাচ্ছি। কিন্তু তা উপলব্ধি করার অবকাশটুকুও আমাদের নেই । আজকের লেখায় আলোচনা করা হবে ইলুমিনাটি ও বর্তমান বিশ্বে তাদের প্রভাব সম্পর্কে।
১৭৭৬ সালে অ্যাডাম ওয়েশপট এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশের ইলুমিনাটি যাত্রা শুরু করে। এর উদ্দেশ্য ছিল সমাজ থেকে তথাকথিত কুসংস্কার দূর করা। সেই সাথে জন-জীবনে ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় প্রভাব কমানোর। প্রথম থেকেই ইলুমিনাটি একটি গোপন সংগঠন। তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রাকাশে অনেকেই নানান ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে। কেউ কেউ ইলুমিনাতির ওয়েবসাইট খুলে রীতিমতো ব্যবসাও করছে। এত কিছুর ভিড়ে কেউ আপনাকে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারবেনা বর্তমানে ইলুমিনাতির সদস্য কারা এবং তাদের কর্মপরিকল্পনা কী। তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় তাদের কাজই হলো অধর্মের চর্চা করা। আর তাদের সাথে যুক্ত আছে পৃথিবীর বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তাই ইলুমিনাটির সংজ্ঞা খুঁজতে গিয়ে সময় নষ্ট না করে। ইলুমিনাতির দ্বারা আমরা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি তা আলোচনা করাই সবার জন্য উপকারী।
ইলুমিনাতি |
ইলুমিনাটির পূর্ববর্তী গুপ্ত সংগঠন থেকে শুরু করে পরবর্তী বহু সংগঠন পরিচালিত হচ্ছে কোনো না কোনো শয়তানের উপাসনাকে কেন্দ্র করে। ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য কিছু লোক শয়তানকে তাদের প্রভু হিসেবে গ্রহণ করেছে। শয়তানের উপাসকদের নিয়ে অন্য কোন পর্বে আলোচনা করা যাবে। আজকের লেখায় ইলুমিনাটির প্রভাব বর্ণনা করাই উদ্দেশ্য।
ইলুমিনাটিরা মূলত শয়তানের উপাসনার মাধ্যমে বিভিন্ন স্বার্থ হাসিল করে। ইলুমিনাটির সবচেয়ে প্রচলিত একচোখা প্রতীক পবিত্র কুরআন অনুসারে দাজ্জাল এবং বাইবেল অনুসারে অ্যান্টিক্রাইস্টের চিহ্ন বহন করে। নতুন পৃথিবী গড়া করা তাদের মূল মন্ত্র বলে প্রচার করা হলেও। আসলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। সমগ্র বিশ্ব যখন চূড়ান্ত বিশৃংখলার পরিবেশ বিরাজ করবে। তখনই হাজির হবে তাদের আরাধ্য দেবতা দারজাল বা অ্যান্টিক্রাইস্ট। তাই শয়তানের সরাসরি মদদে ইলুমিনাটি তাদের পথভ্রষ্টতার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
ইলুমিনাটি গঠনে পেছনে ফ্রিমেসনের অনেক প্রভাব ছিল। ফ্রিমেসন হল মধ্যযুগের এক গুপ্ত সংগঠন। তারাও অপ দেবতার উপাসক ছিল। সেই ফ্রিমেশনারীদের অনেক প্রতীক এবং চিহ্ন ইলুমিনাটিরাও সমান ভাবে ব্যবহার করে। অবাক করা ব্যাপার হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতীকটি প্রকাশে ইলুমিনাটির চিহ্ন বহন করে। এই প্রতীকের নাম গ্রেট সীল অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস। যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট, ডলারসহ প্রায় সকল জাতীয় বিষয় এই গ্রেট সীল ব্যবহার করা হয়। এই প্রতীক থেকেই ইলুমিনাতির প্রধান উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যাবে। এই সীলের এক পাশে রয়েছে ঈগল পাখি এবং অপর পাশে রয়েছে পিরামিড ও একটি চোখ। এই একটি এক চোখ হল মেসনিক সূর্য দেবতা রে। এই রে নাম থেকেই সূর্যকিরণ কে বলা হয় "Sun Ray"।
এই জাতীয় প্রতীকের প্রায় পুরোটা জুড়ে রয়েছে মেসনিক নানান চিহ্ন। পশ্চিমা সংস্কৃতি ১৩ হল শয়তানের প্রতীক। কিন্তু এই প্রতীকে ১৩ সংখ্যাটি বারবার ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে আছে ১৩টি তারকা , ঈগলের ডান মুষ্টিতে রয়েছে তেরোটি জলপাই পাতা, বাম পুষ্টিতে আছে ১৩টি তীর এবং মাঝখানে এই ডালে আছে তেরটি স্টারাইপ। অন্যদিকে পিরামিড চূড়া নিচের অংশ থেকে আলাদা। তারা বিশ্বাস করে তাদের মেসনিক প্রজেক্ট শেষ হলেই। তাদের প্রভু নিচে নেমে আসবে। পিরামিডের উপরে নিচে লেখা আছে তাদের দুটি মূল মন্ত্র "ANNUIT COEPTIS" এবং "NOVUS ORDO SECLORUM"। প্রথমটির অর্থ "প্রভু আমাদের প্রকল্প সমর্থন করেছে" আর দ্বিতীয়টির অর্থ "ধর্মনিরপেক্ষ নতুন বিশ্বব্যবস্থা"। সোজাসাপটা বলতে গেলে তারা যে দেবতায় বিশ্বাস করে সেই দেবতার ধর্মনিরপেক্ষ পৃথিবী গড়ে তোলার প্রকল্পকে সমর্থন করেছে। প্রশ্ন হল এমন কোন দেবতা আছে যে পৃথিবী থেকে সকল ধর্মীয় বিশ্বাস মুছে ফেলতে চায়? নিঃসন্দেহে তাদের সেই দেবতা হল শয়তান।
ইলুমিনাটির প্রধান এজেন্ডা "নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার" বা ''নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা"। এই এজেন্ডা বাস্তবায়িত হবে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ গঠনের মধ্য দিয়ে। এই ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ এক নতুন ধরনের ধোকা। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার উপাসনার বদলে শয়তানের উপাসনা দিকে মানুষকে ঠেলে দেওয়া। যখন পৃথিবীতে প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার কোন উপায় থাকবে না। তখনই হবে একচোখা দাজ্জালের আগমনের উৎকৃষ্ট সময়। ইলুমিনাটির এসব কর্মকাণ্ড মুক্তমনা বা মুক্ত চিন্তার অধিকারী হিসেবে প্রচার করা হলেও। প্রকৃতপক্ষে তাদের মতবাদ বিরোধী সকল চিন্তা ধারাকে তারা আক্রমণ করে বসে। ভাবখানা এমন যেন তাদের চিন্তা ভাবনা ব্যতীত সকল চিন্তাই সংকীর্ণমনা।
ধর্মগ্রন্থ ভুল হতে পারে কিন্তু তাদের মতাদর্শী তথাকথিত মনীষীর তত্ত্ব যেন কিছুতেই ভুল হতে পারে না। লৈঙ্গিক সমতা, নারীবাদ, যৌন স্বাধীনতা ,সমকামিতা ,গণতন্ত্র বিশ্বায়নের মতো বহু ত্রুটিপূর্ণ মতবাদকে শতভাগ বৈধ করার প্রচেষ্টা নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার উৎকৃষ্ট হাতিয়ার। ইলুমিনাটির এসব হাতিয়ার যথেষ্ট কার্যকরীও বটে। আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের সমাজের বিরাট পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারছি। মধ্যপ্রাচ্যসহ এশিয়াসহ সমগ্র বিশ্বের নৈতিক স্খলন তার হাতেনাতে প্রমাণ। তাদের সফল হবার প্রধান কারণ হল মানুষকে এমন সব কাজে জড়িয়ে ফেলা যেসব কাজ আপাতদৃষ্টিতে মোটেও ক্ষতিকর বলে মনে হবে না। কিন্তু তার সুদুর প্রসারী প্রভাব থাকবে। যেমন মানুষের চিন্তা ভাবনার প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন আসা।
নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিশ্ববাণিজ্য সবচেয়ে সহায়ক ভুমিকা রেখেছে। পশ্চিমা বিশেষ করে আমেরিকান অর্থনীতি রাজনীতি সংস্কৃতি আদর্শ বা চিন্তা করার প্রক্রিয়া ক্রমাগত এক দেশ থেকে আরেক দেশে মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন প্রযুক্তির কারণে মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত মূল্যবোধ লোভ পাচ্ছে এমনকি আমাদের খাদ্যাভ্যাস পর্যন্ত। একটু ভেবে দেখুন আমাদের এক প্রজন্ম আগেও বাংলাদেশের মানুষ পিজ্জা কি জিনিস চিনতই না। আর আজকে আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাবার পিজ্জা। অলিতে-গলিতে বার্গার চিকেন ফ্রাইের দোকান। এসব দোকান ইলুমিনাটি তৈরি করেনি। ইলুমিনাটি যা করেছে তা হল আমাদের রুচি, মন ,মগজ আর চিন্তা-চেতনার পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছে। বিদেশি নাটক-সিনেমা, টেলিভিশন সিরিজ ,মিউজিক ভিডিও দেখে আমরা এসব কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছি।
এরপর আমরা নিজ দায়িত্বে আমাদের জীবনে এসব পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আপাতদৃষ্টিতে আমরা একে মোটেও খারাপ চোখে দেখছি না। কিন্তু দীর্ঘ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা, স্মার্ট ফোন চালানো বা অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয় তা আজ বিজ্ঞান দ্বারাও প্রমাণিত। সবকিছু জানার পরেও আমরা এগুলোর থোড়াই কেয়ার করি। কারন নিজেদের অজান্তেই নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার দ্বারা আমরা সম্মোহিত হয়ে পড়েছি। পশ্চিমা সংস্কৃতি তথা বিশ্ব ব্যবস্থার অনুসরণ করাকেই উন্নত জীবন মনে করে আত্মতুষ্টিতে ভুগছি। সেই সাথে নিজেদের অজান্তেই ইলুমিনাটির দাসে পরিণত হয়েছি। ভেবে দেখুন আজকাল কতজন বাঙালি অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলে। দুজন বাঙালি ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলছে মেসেঞ্জারে চ্যাট করছে ইংরেজি ভাষায়। ইংরেজি বা বিদেশি ভাষার ব্যবহার কোন অপরাধ নয় কিন্তু যখন মাতৃভাষার বদলে অন্য ভাষায় কথা বলাকে মর্যাদার বিষয় মনে করা হয়। তখন তার নিজের সত্তাকে বিক্রি করে দেওয়ার শামিল। যখন বিশ্বের সবাই একই ভাবে চিন্তা করবে, একই রকম জীবন যাপন করবে ,একই পোশাক পরবে, একই জিনিস খাবে, একই ভাষায় কথা বলবে তখন তাদের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করাটা অনেক সহজ হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আত্মসচেতন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্তি নেই ।
বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সামাজিক পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রন করছে। আর রাষ্ট্রগুলো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে সুপ্রতিষ্ঠিত করছে। অতীতের মতো সামরিক নেতারা জনগণের উপর সরাসরি ক্ষমতা চর্চা করতে পারে না। বর্তমানে আসল ক্ষমতা চলে গেছে তাদের হাতে যারা অর্থনীতি পরিচালনা করেন। এর ফলে ধনীরা দিন দিন আরো ধনী হচ্ছে আর গরিবরা হচ্ছে আরো গরিব। এটা শুধু বাংলাদেশ-ভারতের চিত্র নয়। সমগ্র বিশ্বের অবস্থা তার মানে এই নয় যে সকল ধনী ইলুমিনাটি। এর অর্থ হল নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় আমরা এমনভাবে ঢুকে গেছি যে না চাইলেও এর সাথে আমরা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ছি। ইলুমিনাটির আরেকটি বড় হাতিয়ার হলো বিশ্বগণমাধ্যম ব্যাবস্থা। গণমাধ্যম এর সাহায্যে খুব সহজেই একই বার্তা বারবার প্রচার করে মানুষের মনোজগতের পাকাপোক্ত আসন গাড়া যায়। গণমাধ্যমের বার্তা আমরা সচেতন ভাবে গ্রহণ না করলেও আমাদের অবচেতন মনে এর সুনির্দিষ্ট প্রভাব বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত। বর্তমান পৃথিবীতে কেউ ভৌগোলিক পরিবেশের মাধ্যমে আগ্রাসন চালাচ্ছে না। অথচ বিশ্বগণমাধ্যম ব্যবহার করে সহজেই মনোজাগতিক উপনিবেশ স্থাপন করে আমাদের মস্তিষ্কে খবরদারি চালানো হচ্ছে। পপ্ বা জনপ্রিয় সংস্কৃতি গুলো ইলুমিনাটি এজেন্ডা প্রচারের কার্যকর ও অন্যতম সফল মাধ্যম। এখন আমাদের জীবনে নিজের বলে কোন সময় নেই।
একের পর এক সাংস্কৃতিক ইভেনট যেন বিস্ফোরিত হচ্ছে। বিভিন্ন খেলাধুলা আসর, সুপারহিরো মুভিজ, টিভি সিরিজের নতুন নতুন সিজন, নতুন নতুন এপিসোড, ভিডিও গেম, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড আমাদের জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। অথচ আমরা একটু ভেবে দেখি না, এগুলো আমাদের জীবনে কোন মৌলিক গঠনগত পরিবর্তন আনছে কিনা। কেউ যদি বলেন বিনোদনের জন্যের তো এগুলোর দরকার আছে। সেক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে দিনের বেশিরভাগ সময় যদি বিনোদনের পেছনে চলে যায়। তখন তার আর বিনোদন থাকেনা অভিশাপে পরিণত হয়। অথচ আমরা আমাদের মূল্যবান জীবনের বিনিময়ে এই অভিশাপ উপভোগ করছি। ইতিহাসের কুখ্যাত ব্যক্তিদের পর্দায় গৌরবান্বিত করে দেখানো হচ্ছে। খল চরিত্রগুলোকে আজ তরুণ সমাজ আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করছে। পপুলার কালচারএ মাদকের অপব্যবহার শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছে। যার ফলে বর্তমান বিশ্বের প্রায় সকল দেশের এক বিরাট সমস্যা হয়ে উঠেছে মাদক। মাদকের ছোবলে আমরা ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা টুকু হারিয়ে ফে।লি এর ফলে আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করা ইলুমিনাটির মতো শয়তানের উপাসকদের জন্য খুবই সহজ হয়ে ওঠে। ইলুমিনাটির যতগুলো প্রকল্প এখনো পর্যন্ত সফল হয়েছে তার মধ্যে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় রেসলিং উল্লেখযোগ্য। এধরনের সহিংসতাপূর্ণ খেলার মাধ্যমে আগ্রাসন প্রচার করায় তাদের লক্ষ্য। জাদুঘর যেমন দর্শকদের চোখের ধোকা দিয়ে আনন্দ দেয়। আধুনিক রেসলিং ও ঠিক একইভাবে দর্শকদের বোকা বানিয়ে বিনোদন দেয়। রেসলিং এ প্রদর্শিত কসরত দেখতে যতটা উত্তেজনাকর। বাস্তবে ঠিক ততটা নয় ।প্রফেশনাল রেসলিং পেশাদার কেমন সাজানো নাটক।