রং ফর্সাকারী কিছু পণ্যের মধ্যে রয়েছে সাবান, ক্রিম, ব্রাশ, ট্যাবলেট। এমনকি ইঞ্জেকশনও রয়েছে। মানব দেহে মেলানিন পিগমেন্টের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এই ইঞ্জেকশন এবং এগুলো অনেক জনপ্রিয়। একইসাথে এটা অনেক ব্যয়বহুল। অনেকের মুখের রং অনেক ফর্সা হলোও শরীরের রং কালো। তাই আজ আমি হাজির হয়েছি শরীরের রং কিভাবে ফর্সা করবেন এমন একটা রেমিডি নিয়ে। তো চলুন বন্ধুরা পড়ে নেওয়া যাক শরীর ফর্সা করার উপায় ।
বন্ধুরা এটা তৈরি করতে আমরা দুইটি ধাপ অনুসরণ করব।
আমাদের প্রথম ধাপের জন্য লাগবে লেবুএবং হলুদ। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে লেবু খুবই ভালো কাজ করে। হাত ও পায়ের রুক্ষভাব দূর করতে লেবুর রস অনেক উপকারী তা ছাড়া গ্লিনজার হিসাবে অনেক ভালো কাজ করে। হলুদ সাধারণভাবে সবাই এটাকে মসলা হিসেবে জানলেও এর অবস্থান কিন্তু শুধু রান্নাঘরেই আটকে নেই। অনেক আগে থেকেই রূপচর্চার জন্য ব্যবহার করা হয় হলুদ। তাই এটাকে পরীক্ষিত ভেজস রূপচর্চার উপকরণো বলা যায়। রূপের যত্নে এখন আপনি ভরসা রাখতেই পারেন হলুদের উপরে। হলুদ ত্বক উজ্জ্বল করে ভ্রণ, জার্শ দূর করতে এবং ফাঙ্গাস ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। সর্বপ্রথম একটি বাটিতে অর্ধেক লেবুর রস নিন তারপর এতে অর্ধেক চামচ হলুদ মেশান। আপনি চাইলে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারবেন। এখন এই উপাদান দুটিকে একত্রে খুব ভালোভাবে মিস্ত্রিত করুন।
শরীর ফর্সা করার উপায় |
ভালোভাবে মিশ্রিত করার পর এটি আপনার শরীরে লাগান।শরীরে লাগানোর ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
এবার চলুন আমাদের দ্বিতীয় ধাপে পড়ার যাক।
এ ধাপটির জন্য আমাদের লাগবে চিনি, কফি পাউডার, নারিকেল তেল ও গ্লিসারিন। সর্বপ্রথম একটি বাটিতে ২ চামচ চিনি নিন। তারপর এতে এক চামুচ কফি পাউডার নিন। এরপর এতে হাফ চামচ নারিকেল তেল যোগ করুন এবং সর্বশেষ এতে এক চামচ গ্লিসারিন নিন।বন্ধুরা এটাকে খুব ভালভাবে মিশ্রিত করে ফেলুন। বন্ধুরা এটা দেখুন দেখতে এটা ক্রিমের মতো হয়ে গেছে এটা শরীরে লাগিয়ে রাখুন এবং শুকানো পর্যন্ত রেখে দিন। এটা শরীরে শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতি সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করলে আপনার শরীর মুখের মতো ফর্সা হয়ে যাবে।