আজকের লেখায় আজ থাকছে গর্ভবতী মায়েদের জন্য একটি পুষ্টিকর ডায়েট চার্ট। গর্ভকালীন সময়ে নারীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এই সময় ভ্রুনের ভালো বৃদ্ধির জন্য নারীদের স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হয়। কেননা গর্ভের শিশুটি যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় তা নিশ্চিত করতে হবে গর্ভবতী মাকেই এসব কথা ভেবেই গর্ভের সন্তান এবং গর্ভবতী মায়েদের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে পুষ্টিকর সব খাবারের সমন্বয়ে আজকের এই ডায়েট চার্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে জেনে নিই গর্ভাবস্থায় একজন নারীর গর্ভের শিশুটির সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে কেমন ডায়েট চার্ট মেনে চলা উচিত।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য পুষ্টিকর ডায়েট চার্ট |
প্রথমে দেখি নিন ভোর সকালে কি করবেন,
ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ সেরে যে নিয়ে এক গ্লাস পানি পান করবেন। এবার দেখে নিন সকালের নাস্তায় কি খাবেন, সকালের নাস্তায় কিছুই খাবেন খিচুড়ি খাবেন তিন সার্ভিং । দেড় কাপ চাল ,ডাল এবং সবজি মিশিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাবেন। এক কাপ রান্না করা সবজি খাবেন । ডিম খাবেন একটা , একটা সিদ্ধ ডিম খাবেন। মনে রাখবেন সপ্তাহে তিন থেকে চারটা ডিমের বেশি খাওয়া যাবেনা। দুধ খাবেন এক সার্ভিং, এক গ্লাস দুধ খাবেন। মধ্যে সকালের নাস্তা, মধ্যে সকালের নাস্তায় বাদাম অথবা কলাই খাবেন ৩০ গ্রাম। ৩০ গ্রাম পরিমাণে বাদাম খাবেন অথবা ৩০ গ্রামের মতো কলাই খাবেন ।
দুপুরে খাবার,
দুপুরে খাবারে ভাত খাবেন তিন সার্ভিং অর্থাৎ দেড় কাপের পরিমাণে ভাত খাবেন। ভাতের সাথে শাক খাবেন ১ কাপ। ১ কাপ রান্না করা সবুজ অথবা রঙিন পাতা যুক্ত শাক খাবেন। ভাতের সাথে আরও খাবেন সবজিসহ রান্না করা একটা বড় সাইজের মাছের টুকরা, এখানে সবজির পরিমাণ হবে ৩ সার্ভিং অর্থাৎ দেড় কাপ এবং মাছের টুকরা একজন হবে ১২০ গ্রামের মতো। অথবা সবজিসহ রান্না করা ৪ থেকে ৫ টুকরা মাংস খাবেন। এখানে মাংসের পরিমাণ হবে ১২০ গ্রামের মতো। দুপুরের খাবারে আরো খাবেন আধাকাপ পরিমাণে সবজির সালাদ এবং এক টুকরা লেবু ।
বিকালে নাস্তা,
বিকালের নাস্তায় সিজন্যাল ফল খাবেন ২ সার্ভিং, ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম এর মধ্যে আপনার আশেপাশেই ঋতুভেদে যে ফল পাওয়া যায় সেই ফল খাবেন। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার ফলে তালিকায় যেন তিনভাগের দুইভাগ টকজাতীয় ফল থাকে। রাতের খাবার, রাতের খাবারে ভাত অথবা রুটি খাবেন দুই সার্ভিং। ১ কাপ ভাত খাবেন অথবা দুইটা মাঝারি সাইজের গমের আটার রুটি খাবেন। রুটির সাথে সবজিসহ রান্না করার দুই থেকে তিন টুকরা মাংস খাবেন। অথবা সবজিসহ রান্না করা এককাপ ছোট মাছের তরকারি খাবেন অথবা এক কাপ নিরামিষ তরকারি খাবেন। সবশেষে বলব রাতে ঘুমানোর আগে একটা পাকা কলা খাবেন। এছাড়াও প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পরিমাণে পানি পান করবেন এবং প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাবেন।