কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

আজকের আলোচনার বিষয়, কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ।  সঠিক নিয়ম জেনে নিন কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম । তোমরা কালোজিরার ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে।" আসুন আমরা জেনে নেই আমাদের জন্য কি কি ওষুধ গুন আছে এই কালোজিরাতে আর ভালো কালোজিরা বাছাই করে ব্যবহার করুন। 

 

১.  হজমের সমস্যায় ১-২ চামচ  কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে থাকুন। এভাবে প্রতিদিন দু -তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে হজম শক্তি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি পেট ফাঁপাভাবও দূর হবে।

 

 

২.  জ্বর ,ব্যাথা,সর্দি-কাশিতে এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে ৩ চা -চামচ মধু ও ২ চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে প্রতিদিন এক বার সেবন করুন। কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন যদি সর্দি বসে যায়। একই সঙ্গে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ের কালোজিরা বেঁধে শুকাতে থাকুন, শ্লেষ্মা তরল ঝরে  যাবে। তাড়াতাড়ি ভালো ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করুন।

 

 

৩. মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন রাত্রে শোবার আগে ৫ থেকে ১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। ইনশাআল্লাহ মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালোজিরার ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন।

 

 

কালোজিরা,কালোজিরার উপকারিতা,কালোজিরা তেল,কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম,কালোজিরা ও মধুর উপকারিতা,কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম,কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা,কালোজিরা খেলে কি হয়,কালোজিরার তেল,কালোজিরা ভর্তা,কালোজিরা খাবার উপকারিতা,কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা,কালোজিরা উপকারিতা,কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম,কালিজিরা,কালোজিরা ও মধু,#কালোজিরা,কালোজিরা তেলের উপকারিতা,কালোজিরা তেলের উপকারিতা কি,কালোজিরা খেলে কি হয়,খালি পেটে কালোজিরা খেয়ে দেখুন,কালোজিরা কিভাবে খাবো,কালোজিরা চাষ
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

 

৪.  কপালের দুই পাশ এবং কানের পাশে দিনে তিন-চারবার কালোজিরার তেল মালিশ করুন। মাথা ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।

 

৫.  নিয়মিত কালোজিরা খান। এটি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। যার দরুন স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে এটি প্রাণ শক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে।

 

 ৬.  কালোজিরা লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী আফলাটক্সিন নামক বিষ ধ্বংস করে। তাই যারা লিভার ক্যান্সার আক্রান্ত তারা আজ থেকে খাওয়া শুরু করে দিন।

 

 ৭. চুল পড়া রোধে কালোজিরার নিয়মিতভাবে খান।  এতে আপনার চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আর ভালো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে থাকুন।

 

 

৮.  ডায়বেটিকস্ রোগীর এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। একসময় ডায়াবেটিস কমে যাবে ইনশাল্লাহ।

 

 

 ৯. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরার তেল ব্যবহার করুন। শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি দূর করে। হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে।

 

১০.  পক্ষাঘাত ও  কম্পন রোগে কালোজিরার তেল মালিশ করলে আশ্চর্যজনক ফল পাওয়া যায়।

 

 ১১. কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অতি উৎকৃষ্ট ঔষধ।

 

 ১২. শুলবেদনা ও প্রসূতি রোগে কালোজিরা অত্যধিক উপকারী। ব্রণের জন্য এটিই উত্তম ঔষধ।

 

 ১৩.  মূত্রথলির পাথর ও জন্ডিস থেকে আরোগ্য লাভ করতে কালোজিরা খান নিয়মিত যতবার পারে।

 

 ১৪. অধিক ঋতু স্রাব, মাত্রাতিরিক্ত পেশাব  প্রতিরোধ করতে কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম। এটি কৃমিনাশক।

 

আরও পড়ুন - মধু এবং কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা

 

 ১৫ তিরমিজি বুখারী ,মুসলিম থেকে নেওয়া একটি হাদীস হযরত কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,  প্রতিদিন একুশটি কালোজিরার একটি পুটলি তৈরি করে পানিতে ভিজাবে এবং পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাসারন্দ্রে অর্থাৎ নাকে ব্যবহার করবে । প্রথমবার ডান নাকেরে ছিদ্রে  দুই ফোঁটা এবং বাম নাকের ছিদ্রে একফোঁটা। দ্বিতীয়বার বাম নাকের ছিদ্রের ২  ফোঁটা এবং ডান নাকের ছিদ্রে এক ফোঁটা। তৃতীয়বার ডান নাকের ছিদ্রে দুই ফোঁটা ও  বাম নাকের ছিদ্রের  ১ ফোঁটা।

 

 

 ১৬. হাজরত আনাস (রাঃ) বলেন, " নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এরশাদ করেছেন। যখন রোগ-যন্ত্রণা খুব বেশি কষ্ট হয়। তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে। তারপর পানি ও মধু সেবন করবে।

 

১৭. কালোজিরা রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

 

 ১৮. নিয়মিত কালোজিরা সেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি সাধন করে।

 

১৯. ভাত ,তরকারি ইত্যাদি সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খান রোগ ব্যাধি থেকে দূরে থাকুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন