স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

আজকে আমরা আলোচনা করবো স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি ঘরোয়া উপায় এবং ঔষধি চিকিৎসা ব্যবস্থা। আজকে আমরা আরো জানবো এলার্জি আসলে কি, কখন এবং কেন আমরা এলার্জি বা এলার্জিজনিত ব্যাধির দ্বারা আক্রান্ত হতে পারি। সম্পূর্ন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরিকৃত এই ঔষধটিতে একেবারেই কোনো পাশ্বপ্রতিক্রিয়া ও সাইড ইফেক্ট নেই। 


দূষণের ফলে বিশ্বজুড়েই বাড়ছে এলার্জির প্রবণতা। এলার্জি থেকে অল্পস্বল্প থেকে মারাত্মক অর্থাৎ জীবন সংশয়ের অবস্থা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। আমাদের শরীরকে বাইরের বিভিন্ন জীবাণু থেকে রক্ষা করে আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম আর কোনো কারণে এই ইমিউন সিস্টেম কাজ করতে না পারলে কিছু আপাত নিরীহ উপাদানই তখন এলার্জি সৃষ্টি করে। এই উপাদান গুলোকে বলে এলার্জেন বা অতি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী বস্তু। এই এলার্জেন গুলো কোনো কারণে ইমিউন সিস্টেম এর সংস্পর্শে এলে ইমিউনোগ্লোবুলিন নামে এক ধরণের এন্টিবডি তৈরি হয়। আর এই এন্টিবডি বিভিন্ন কোষে গেলে সেখান থেকে হিস্টামিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক নিঃসৃত হয় এবং এর থেকেই দেখা দেয় এলার্জি। 


স্কিন এলার্জি


স্কিন বা ত্বকের এলার্জির জন্যে সারা শরীর প্রচুর চুলকোতে পারে। অনেকসময় চুলকোতে চুলকোতে চুলকানির জায়গাটি লাল হয়ে গরম হয়ে ফুলে যেতে পারে। সাধারণত কোনো খাবার, ঔষধ বা শরীরে কিছু লাগালেও কিন্তু এমন স্কিন এলার্জি হতে পারে। চলুন আর সময় নষ্ট না করে স্কিন এলার্জি থেকে দ্রুত মুক্তি পাবার ঘরোয়া উপায় এবং ঔষধি চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে একটু জেনে নেই। 



স্কিন এলার্জির যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে এবং এর জন্যে আপনার প্রয়োজন হবে:


১০০ গ্রাম কাঁচা হলুদ এর গুঁড়ো

৫০ গ্রাম আমলকি

৫০ গ্রাম নিমপাতা গুঁড়ো


নিমপাতার গুঁড়ো এখন প্যাকেট হিসেবেও বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আপনি ইচ্ছে করলে তাও ব্যবহার করতে পারেন, একই রকম ফল পাবেন। তবে সবথেকে ভালো হয় যদি কাঁচা নিমপাতা রোদে শুকিয়ে নিয়ে তারপর তা গুঁড়ো করে এই মিশ্রণটি তৈরি করার জন্যে ব্যবহার করতে পারেন। পরিমাণ মতো প্রত্যেকটি উপাদান যা যা বললাম ভালো মতো মিশিয়ে নিয়ে একটি শিশির মধ্যে রেখে দিন। বন্ধুরা স্কিন এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে এই ওষুধটি প্রতিদিন সকাল বেলা সম্পূর্ন খালি পেটে ৫ গ্রাম করে একটানা সাত দিন খেতে হবে। এই ওষুধটি খাবার পরবর্তী এক ঘন্টার মধ্যে কিছু খাবেন না বা পানীয় বা জল পান করবেন না। এই ঘরোয়া ওষুধটি খাবার এক ঘন্টার মধ্যেই আপনি ফল পেতে শুরু করবেন। আপনার স্কিন এলার্জি জনিত যাবতীয় সমস্যা দূর হবে কিন্তু সর্বাধিক ভালো ফল পেতে আপনি অবশ্যই টানা সাত দিনের সম্পূর্ণ ওষুধের কোর্সটি শেষ করবেন।



এই ওষুধটি চলাকালীন চিংড়ি মাছ, বোয়াল মাছ, ইলিশ মাছ, ডিম, বেগুন, রসুন এবং পেঁয়াজ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ দেখা গেছে এই সমস্ত খাবারই কোনোনা কোনো ভাবে এলার্জি সৃষ্টিকারী প্রতিক্রিয়া বস্তু বা এলার্জেনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং গতিবিধিকে বহু অংশে বাড়িয়ে দিয়ে এলার্জির উদ্বেগ করে থাকে। একটা কথা মাথায় রাখবেন এলার্জি কখন কার কিসে হবে এবং কি রূপে তা দেখা দেবে তা আগে ভাগে আন্দাজ করে বলা খুবই মুশকিল। আর সেকারণেই যাদের এলার্জির প্রবণতা আছে তাদের একটু বাড়তি সতর্কতা কিন্তু নিতেই হবে। কারণ সেটাই সুস্থতার লক্ষণ। আর তা না হলে কিন্তু শুধু চুলকানি, ত্বকের র‍্যাশ বা স্কিন এলার্জি নয় বরং শ্বাসকষ্টের মতো জটিল সমস্যাও। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন