খোকসা উপজেলার মামুদানীপুর গ্রামে ফুলবাড়ি মঠ (Fulbari moth) হতে পারে দর্শনীয় স্থান। এই মঠটা মামুদানীপুর গ্রামের মধ্যে হলেও সবাই ফুলবাড়ি মঠ হিসাবে চিনে। একেবারেই অরক্ষিত এবং সরকারী নজরদারী বঞ্চিত এই মঠ। এর প্রচারও এত কম যে খোকসার মানুষও এটা চিনে না।
মঠটা একটা ত্রিভুজাকৃতি উঠানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। ত্রিভুজের ভূমির এক কোণে দোতলা মঠটা আর অপর কোণে আছে একতলা মন্দির, তার তৃতীয় কোণে আছে একটা ভবন। ভবনগুলো তুলনামূলক ছোট ছোট ইট দিয়ে তৈরী।
মোঘল রাজত্বের প্রথমদিকে অথবা পাঠান রাজত্বের শেষভাগে ব্রজবল্লভ ক্রোড়ী নামে এক বৈঞ্চব ধনী ব্যবসায়ী এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন এবং রাধারমন বিগ্রহ স্থাপন করেন। ফুলবাড়ি মঠ ও মন্দির সম্পর্কে বাংলা ১৩৪৩ সালে বিখ্যাত ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় তারাপদ দাস নামে একজন লেখক লিখেছিলেন ফুলবাড়ির মঠের প্রধান মন্দির গৃহটি পাবনার জোড়বাংলার মন্দির ধরণের। এই মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে ও শিরোভাগে বহু দেব-দেবীর বিচিত্র মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়।
তিনটা ভবনই জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে কিন্তু অক্ষত। সরকারীভাবে এগুলোকে সংরক্ষণ করে রাখার সুযোগ এখনো চলে যায়নি। প্রাচীন ঐতিহ্য প্রিয় মানুষের জন্য একটা উত্তম ভ্রমন স্থান।
তবে কুষ্টিয়াবাসী চাইলে দ্রুতই ঘুরে আসতে পারেন মঠটা, হয়তো বেশিদিন থাকবে না সেটি।
তবে কুষ্টিয়াবাসী চাইলে দ্রুতই ঘুরে আসতে পারেন মঠটা, হয়তো বেশিদিন থাকবে না সেটি।
খোকসা রেলস্টেশন বা বাসস্টপেজ থেকে ভ্যান কিংবা অন্য কোনো যানবাহন নিয়ে ফুলবাড়ি বাজার, সেখানে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দেবে ফুলবাড়ি মঠ। খোকসা বাস স্ট্যান্ড থেকে ৮ কিলোমিটার এবং খোকসা রেলওয়ে স্টেশন থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে।
জায়গাটা একেবারেই পরিত্যক্ত। কাজেই সাপ বিচ্ছুর ভয় আছে, বিশেষ করে মন্দির আর ত্রিভুজাকার ভবনটির ভেতরে প্রবেশ না করাই শ্রেয়। (আমরা ব্যক্তিগতভাবে প্রবেশ করতে নিষেধ করছি)
জায়গাটায় যে কেউ চাইলেই হরর কোন শুটিং করতে পারেন, কোন কতৃপক্ষ না থাকায় কোন বাধা থাকবে না।
খোকসা রেলওয়ে স্টেশন বা শোমসপুর বাজার থেকে ফুলবাড়ি মঠ দেখতে যাবার সুবিধার জন্য এই ভিডিওটা দেখতে পারেন।