হাজারো রোগ থেকে মুক্তির জন্য কিন্তু কালোজিরা এর গুণের কথা নিশ্চয়ই কারো অজানা নয় বর্তমানে এখন । এর সাথে সাথে মধুর যে সমস্ত গুনাগুন রয়েছে সেগুলো বর্তমানে এখন কারও অজানা নয় এগুলো সম্পর্কে কিন্তু আমরা সবাই কম বেশি জানি । কিন্তু আপনারা জানলে অবাক হবেন যে, মধু আর কালোজিরা একসাথে খেলে কি হয় । আজকে আমরা এই সমস্ত তথ্য গুলো আপনাদের সাথে step-by-step বলবো -
মধু এবং কালোজিরা |
কালোজিরা এর তেলে রয়েছে প্রায় ১০০ এর থেকেও বেশি উপযোগী উপাদান । তারুণ্য, ধরে রাখার জন্য কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে কালোজিরা খেয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়াও কালোজিরা কিন্তু কাজের শক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এই কালোজিরাতে রয়েছে প্রায় ২১ শতাংশের মতো আমিষ,৩৮ শতাংশের মতো শর্করা আর তার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল আর চর্বি।
প্রায় 2 হাজার বছরের বেশি সময় ধরে কিন্তু মানুষ খাবারের সাথে কালোজিরা খেয়ে আসছে। কালোজিরার মতো কিন্তু কালোজিরা থেকে বানানো তেল ও আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী । তাই আসুন আমরা জেনে নেই যে সকালবেলাতে কালোজিরা আর মধু খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হয়সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন –
১ - কালোজিরা কিন্তু আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে । নিয়মিত কালোজিরা খেলে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ পতঙ্গ সজীব থাকে। এইটা কিন্তু আমাদের শরীরের যেকোনো ধরনের জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমাদের শরীরকে প্রস্তুত করে তোলে আর তার সাথে সাথে, সার্বিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের উপকার করে। আর আপনারা কিন্তু ইচ্ছে করলে কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন ।
২ - কালোজিরা আর মধু কিন্তু আমাদের শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । কালোজিরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত যে সকল রোগী আছে , তাদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দিয়ে থাকে। আর যার ফলে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে ।
৩ - কালোজিরা নিম্ন রক্তচাপ বৃদ্ধি করে স্বাভাবিক করার জন্য কিন্তু অনেক সাহায্য করে থাকে । আর তার সাথে সাথে আমাদের দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে , এবং তার সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে। আর যার কারণে কিন্তু আমাদের শরীরে রক্তচাপ এর মাত্রা সঠিকভাবে বজায় থাকে। আর তাই কিন্তু আপনারা চাইলে কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন ।
আরও পড়ুন - কিডনি রোগ থেকে বাঁচার উপায়
১ - স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে -
১ চা চামচ পুদিনা পাতার রস অথবা কমলার রস কিংবা ১ কাপ রঙ চায়ের সঙ্গে ১ চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে নেওয়ার পরে। আপনারা দিনে ৩ বার করে Regular খেতে থাকবে। এটা কিন্তু আপনার দুশ্চিন্তা দূর করবে ।
আর তাছাড়া এটা কিন্তু আপনাদের মেধার বিকাশ করার জন্য কাজ করবে দ্বিগুণ হারে। কালোজিরা নিজেই কিন্তু আসলে একটা অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।
২ - পাইলসের সমস্যা নিরাময় করার জন্য -
১ চায়ের -চামচ মাখন আর এর সাথে সমপরিমানে তিল এর তেল, ১ চা চামচ কালোজিরার তেলসহ যদি আপনারা প্রত্যেকদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ খেতে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনারা এটা থেকে ভালো পরিমাণে একটা উপকার আপনারা দেখতে পারবেন ।
৩ - আমাশয় নিরাময়ের জন্য কাজ করে -
আমাশয় রোগের চিকিৎসা করার জন্য কিন্তু কালোজিরার ব্যবহার করে যাওয়া টা অনেক দিন ধরে চলে আসছে এটা অনেক পুরনো একটা রীতি। ১ চা-চামচ কালোজিরার তেল আর তার সমপরিমাণ মধু যদি দিনে ৩ বার করে দুই থেকে তিন সপ্তাহ খাবেন ।
৪ - অনিয়মিত ভাবে মাসিক সমস্যার সমাধান পাবেন -
১ কাপ কাঁচা হলুদ এর রস কিংবা সমপরিমানে আতপ চাল ধোয়া পানির সঙ্গে ১ কাপ চা চামচ কালোজিরার তেল মিশানোর পড়ে, প্রত্যেকদিন ৩ বার করে খেলে কিন্তু আপনারা এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন ।
৫- হার্টের অনেক সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে -
১ চা চামচ কালোজিরার গুড়া ১ কাপ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে যদি আপনারা প্রত্যেকদিন দুই বার করে চার হতে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত খান তাহলে আপনারা কিন্তু অনেক উপকার পাবেন ।
ওজন কমানোর জন্য কালোজিরা খাবার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন -
ওজন ঘুমানোর জন্য কিন্তু বর্তমানে অনেকে আলাদা আলাদাভাবে অনেকেই কালোজিরা খেয়ে থাকেন । তবে এর কিছু কার্যকরী নিয়ম রয়েছে অর্থাৎ কালোজিরা খাওয়ার। কালোজিরাকে সামান্য গরম করে গুড়ো করে ফেলতে হবে । তারপরে আপনারা লেবুর রস আর তার সঙ্গে মধু দিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে ফেলবেন। মিশ্রণটিতে কালোজিরা যোগ করে পড়ে তার পরে, সেটা ভালোভাবে সংরক্ষণ করে রাখবে। আর এর পরে আপনারাপেস্টটি খেয়ে ফেলবেন। এই ভাবে আপনারা প্রত্যেকদিন কালোজিরার পেস্ট খেলে কিন্তু আপনাদের ওজন কমানো আসলেই সম্ভব ।
আর এগুলো ছাড়াও আরো কয়েকটা পদ্ধতি রয়েছে কালোজিরা খাওয়ার। এর ভেতরে একটি হচ্ছে ১ টি পাত্রে ১ চিমটি কিংবা পরিমাণ মত কালো জিরা রেখে দেওয়ার পরে এতে আপনারা লেবুর রস দিয়ে ভেজানোর পরে কয়েকদিন পর্যন্ত রেখে দিবেন রেখে দিন। আর তার পরে উক্ত কালোজিরা গুলো নিয়মিত পেতে থাকবেন। এতে করে আপনার শরীরের অতিরক্ত ওজন কমে যেতে থাকবে ।
আপনারা যদি পারেন তা হলে সরাসরি কালোজিরা খেতে পারে। আর কিন্তু আপনারা যদি এর সাহায্য করতে না পারেন তা হলে,পানি দিয়ে গিলে ফেলুন। নিয়মিত ভাবে কয়েকদিন খাওয়ার পরে কালোজিরা কিন্তু দেখবেন আপনাদের দেহের অতিরিক্ত ওজন কমে গিয়েছে আর তার পাশাপাশি আপনারা সুস্থ থাকবেন ।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়
আমাদের শেষ কথা -
তাহলে আজকে আমাদের লেখার ভিতরে জানতে পারলাম মধু আর তার সাথে সাথে কালোজিরা কিভাবে খাবেন, খেলে কি কি উপকার রয়েছে এতে এই সকল বিষয় সম্পর্কে জানলাম। কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন কি কি উপকার হবে এরকমের যত আপনাদের প্রশ্ন ছিল, সকল প্রশ্নের উত্তরে আজকে আমাদের লেখার ভিতরে দেওয়ার চেষ্টা করেছি । আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে ।
লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন । কেননা আপনাদের একটিমাত্র শেয়ার আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল লেখার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই অবশ্যই লেখাটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন যাতে করে, তারাও এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারে ।