কখনো আমাদের জীবনে সুখ আসে। আবার কখনো দুঃখ আসে। এটাই জীবনের নিয়ম।কগনো মন ভালো না থাকার কারনে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি।
মন ভালো করার উপায় |
মন ভালো রাখার উপায়
আবার কখনো প্রিয়জনের কথায় মন খারাপ হয়ে পরে। আবার কখনো কখনো কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়।
মন খারাপের দিনগুলো কিভাবে যে কাটে তা মন খারাপ থাকা মানুষটি ভালো বলতে পারেন। আবার অনেকেই মন খারাপের কারণ হয়ে থাকে তার কাছের মানুষ। তবে এমন মানুষ ও আছে যাদের কোনো কারন ছাড়াই মন খারাপ হয়ে যায়।
বিভিন্ন মানুষ যখন আমাদের জীবনের উপর হস্তক্ষেপ করে তখন মন খারাপ হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন এই মন খারাপ অবস্থা আমাদের মাঝে জন্ম দেয় এই হতাশার নামক মানসিক ব্যাধি।আমাদের জীবনকের লক্ষকে ভাসিয়ে দেয় মহাশূন্যে। মন ভালো করার উপায়গুলো জেনে নিজেকে ভালো রাখুন।
মন যখন আছে এতে ভালোলাগা ও খারাপ লাগা থাকতেই পারে।তবে মন খারাপকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মন ভালোতে রূপান্তর করতে হবে।
তাহলে জেনে নিন কি কি পদক্ষেপ মন ভালো করতে পারবেন। মন ভালো করার উপায়।
মন খারাপের কারণ চিহ্নিতকরণ
কোন সময় মন খারাপ হলে, আমরা নিজেদের অপ্রাপ্তি ও বেদনার কথা বেশি ভাবতে থাকি।তখন আমাদের মন আরো বেশি খারাপ হয়ে পড়ে, নিজের কাছে নিজেকে মূল্যহীন মনে হয়।মন খারাপ হলে নিজের হতাশার কথা ভাবা বন্ধ করে মন খারাপের প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করতে হবে।
আরও পড়ুন- হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
কী কারণে আপনার মন খারাপ? কোন ঘটনার জন্য আপনার মন খারাপ? সেটা ভাবতে হবে। কেননা মন খারাপের প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করতে পারলে, তারাতারি মন ভালো করার উপায় জানতে পারবেন।
তা না করে যদি মন খারাপের কথা আর বেশি ভাবতে থাকেন এবং অতীতের অপ্রাপ্তির কথা আর ভাবতে থাকেন তাহলে তাতে আপনার মনটা আরও খারাপ হয়ে পড়বে।
মন খারাপের কারণ বিশ্লেষণ
যখন আপনি মন খারাপের আসল কারণটা বুঝতে পেরেছেন, তখন একটু ভাবুন এ বিষয়ে আপনার মন খারাপ করা কি আসলেই যুক্তিসংগত?
মন খারাপ করলে কি আপনার সমস্যার সমাধান হবে। কিংবা যেসব মানুষ আপনার মন খারাপের জন্য দায়ী তারা কি আসলেই আপনার কাছের মানুষ।
তাদের কথাবার্তা কেন আপনার জীবনকে প্রভাবিত করছে। আপনার জীবনে তাদের কেন এত বেশি প্রভাব। এসব প্রশ্নের কারন হল, আমরা প্রায় অন্যের অনেক ছোটখাট কথায় মন খারাপ করে থাকি।
আবার কিছু কিছু মন খারাপের দীর্ঘমেয়াদি কারণ রয়েছে যেমন ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা কিংবা কোনো কারণে পারিবারিক অশান্তি আপনাকে হতাশার পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। আপনাকে এই মন খারাপের কারন বিশ্লেষণ করতে হবে।
আপনার মন খারাপের জন্য কোন কারণ দায়ী সাময়িক না দীর্ঘমেয়াদি।
মন খারাপের সমস্যা দূর করা
আপনার মন খারাপের কারণ গুলো যদি সাময়িক হয়, তবে এগুলোর আপপার মন থেকে মুছে ফেলুন। বিচিত্র মানুষ নিয়ে আমাদের এই পৃথিবী। সেখানে দু-একজন মানুষ থাকে যারা সবসময় আপনার বিপদের কথা বলার চেষ্টা করে, কেউ কেউ আপনাকে নিয়ে সবসময় ভাবে কিভাবে আপনাকে অপমানিত করা যায়। তারা আপনার মন কে কীভাবে হতাশ করা যায় সেটি নিয়ে পড়ে থাকে।
আপনাকে কষ্ট দেওয়া যায়। আপনার বন্ধুদের মাঝে এমন কেউ থাকে যারা কিনা আপনাকে সবসময় কষ্ট দেওয়ার জন্য অনেক কথা বলতে পারে। এ জন্য ছোট ছোট কারনে নিজেকে কখনো ছোট ভাবা যাবে না। সব সময় আপনাকে ভাবতে হবে আপনি আপনার নিজের চিন্তা ভাবনা ও কাজের প্রতি স্বাধীন।
অন্যের কথাবার্তা ও আচরণ যেন আপনার সেই স্বাধীনতাকে নষ্ট করতে না পারে।
তাই যখন আপনাদের দিকে বাজে কথা বলবে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন। এতে যদি না থামে তবে আপনার সব কথায় সাড়া দেওয়া উচিত না।
কেননা আপনারা অবহেলা তাকে বুঝিয়ে দেবে যে আপনার মন কতটা শক্তিশালী। মন ভালো রাখতে ছোট ছোট বিষয় মাথা থেকে বাদ দিতে হবে।
Twilight time
মনে রাখতে হবে এগুলো সাময়িক। কালকে আবার নতুন একটা দিন শুরু হবে। আবার নতুন করে স্বপ্ন পথে এগিয়ে যেতে হবে। আর যদি আপনার মন খারাপের কারণ ও দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে সেগুলো গভীরভাবে কাছের মানুষের সাথে আলোচনা করে সমাধান খুঁজতে হবে।
সবার সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখবেন না। ভালো বন্ধু বা পরিবারের কাছের কারো সাথে আলোচনা করে পরামর্শ নিতে হবে।
ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলে এ বিষয়ে আপনার কাছের মানুষ যে ভালো বোঝে এবং আপনাকে ভালো পরামর্শ দিতে পারে তার সাথে আলোচনা করতে হবে।
সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে। একবার ভাবুন তো এই পৃথিবী কত সুন্দর। সেখানে আপনার বিকশিত হবার রয়েছে অমিত সমভাবনা।