অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসে সফল হবার উপায় । অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসে যে ভুল করা যাবে না।
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় পেশা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)। যেটা স্টুডেন্ট ও বেকারদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। তাই আমাদের মধ্যে অনেকে এই পেশাটি নিয়ে চিন্তিত, যে কিভাবে এমন লাভজনক ক্যারিয়ার শুরু করতে পারিতি,তবে সামান্য ভুলের কারনে আপনের এই পেশা টি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চলুন দেখে নেই সেই কারনগুলো দেখে নেই।
Affiliate Marketing |
শুরুতে ইনকামের চিন্তা ঃ
সবাই হয়ত জানেন যে বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে কয়েকটি অন্যতম সাইট বা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হল অ্যামাজন, আলী এক্সপ্রেস, থিমফরেস্ট ইত্যাদি।
বন্ধুরা আমরা যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) এর চিন্তা করি তারা সব সময় একটা কমন মিসটেক করে থাকি সেটা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েটিং শুরু করার পূর্বেই ইনকামের চিন্তা করা। আর যে কারণে শতকরা ৮০ জন এই ক্যারিয়ারে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই শুরুতে ইনকামের চিন্তা করা যাবে না। আপনেরা হয়ত জানেন যে ফ্রিতে অ্যাফিলিয়েটিং করার বেস্ট একটা প্লাটফর্ম হলো ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করা। যার কারণে হয়ত অনেকে ভাবছেন যে, যেকোন একটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে ব্লগিং শুরু করব তাহলে ব্লগের প্রথম পোষ্টেই অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রোমোট করে ইনকাম শুরু করতে পারব। যেটা কিনা একদম ভুল চিন্তা ভাবনা।ধরে নিলাম আপনি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট করে ব্লগিং শুরু করছেন এবং সেই সাথে অ্যাফিলিয়েট লিংকেও প্রোমোট করতে শুরু করছেন। কিন্তু আপনি কি ভেবে দেখেছেন আপনি যাদের নিয়ে অ্যাফিলিয়েটিং করতে চান বা আপনার টার্গেটেড যেসব কাস্টমার তারা কি আপনি ব্লগিং শুরু করার সাথে সাথেই আপনার সাইটে বিজিট করা শুরু করবে? তারা কি আপনার সাইটে একটি পোষ্ট দেখেই বা একটা আনপ্রফেশনাল সাইট দেখেও আপনার পোষ্টি পড়ে প্রডাক্ট ক্রয়ের চিন্তা করবে কখনও না।
আপনাকে যদি আমি ফেসবুকে নক দিয়ে বা এই রকম একটা দুইটা প্রডাক্ট নিয়ে যদি বলি যে আমার কম্পানিটা অনেক ভালো আপনি অর্জিনাল প্রডাক্ট পাবেন তাহলে আপনি কি আমরা কথা বিশ্বাস করবেন? কখনও করতে না। কারণ বর্তমানে হ্যাকিং এর সিস্টেমই হলো এমন যে কোন লিংকে ক্লিক করা যেটা একটা হ্যাকার এর কাছে একটা সুবর্ণ সুযোগ। আর একজন সচেতন ব্যক্তি যে পর্যন্ত না আপনার ওপর আস্থা রাখতে পারছে সে কখনও আপনার দেওয়া লিংকে ক্লিক করবে না।
লিংক শিয়ার ঃ
আমরা হয়তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর নাম শুনেই বা দুই একটা ইউটিউব ভিডিও দেখেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছি। আবার অনেক হয়ত যে কোন ভাবে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে নিজের আইডিটাকে এপ্রুভ করে নিয়েছি। কিন্তু তারপরে আমরা বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট লিংকে নানা ধরণের অনলাইন নেটওয়ার্ক বা সোশ্যাল মিডিয়াতে শিয়ার করতে শুরু করেছি, যেটা হলো আমাদের আরেকটি ভুল।
আরও পড়ুন - ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল থেকে আয়
আপনি কি জানেন প্রত্যেকটা কম্পানির নিজেস্ব কিছু নিয়মনীতি রয়েছে যে গুলো আপনি ভঙ্গ করলে সাথে সাথে আপনার অ্যাফিলিয়েট একাউন্টাকে চিরতরে ব্লক করা হবে। যার কারনেই এই ভুলটি করছেন। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় বড় মার্কেটপ্লেস গুলোর একটি নিয়ম হল সরাসরি অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রমোট করা বা শিয়ার করা যাবে না। যেখানি আপনি ভুলটি করছেন। অনেকে এই কথাটি শুনে হাসতে পারেন হয়ত মনেমনে ভাবছেন যে কই আমি তো এটা অনেক দিন ধরে করে আসিছি আমরা আইডিরতো কিছু হয় না। হ্যা, অনেক ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে। তবে হয়ত আপনার এই হাসিটার মেয়াদ দীর্ঘদিন হবে না। কারণ আপনি যে কোন মুহূত্বে তাদের হাতে ধরা পড়তে পারেন। তাই এখন সুধু বসে বসে দিন গুণুন যে কখন আপনরা আইডিটাকে হারাবেন। আর যারা এই পোষ্টি পড়ে বিশ্বাস করবেন তারা কখনও এই ছোট্ট দুটি ভুল করবে না।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রোমট করব? বা শিয়ার করব?
ব্লগিং শুরু করা
আমি বলছিলাম যে আপনেরা অ্যাফিলিয়েটিং শুরু করার পরে ব্লগিং শুরু করবেন না। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে তাহলে কখন ব্লগিং শুরু করব? এই প্রশ্নের সোজা উত্তর অ্যাফিলিয়েটিং শুরু করার পূর্বেই আপনাকে ব্লগিং শুরু করতে হবে, আপনার অ্যাফিলিয়েট নিশ নিয়ে। অর্থাৎ ধরুন আপনি হোম প্রডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েটিং করতে চান তাহলে আপনাকে হোম প্রাডাক্ট নিয়ে একটি ব্লগিং সিরিজ শুরু করতে হবে। যেখানে আপনি ভিবিন্ন ধরণের হোম প্রডাক্ট নিয়ে আলোচণা করবেন। এভাবে আপনি ২/৩ মাস পর্যন্ত ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করুন। একটা সময় এসে যখন দেখবেন আপনার ব্লগে প্রতিদিন মোটামুটি ২০০ থেকে ৩০০ নিয়মীত কাস্টমার যাতায়াত করছ। তখন যেটা করবেন আপনার পুরোনো ব্লগ পোষ্ট গুলোতে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক বসাতে শুরু করবেন।তাহলে যেটা হবে আপনি খুব স্বল্প সময় অ্যাফিলিয়েট ইন্ডাস্ট্রিতে একজন সফল অ্যাফিলিয়েটর হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন। এবং বেশ ভালো একটা ইনকাম করতে পারবেন।
লিংক প্রোমোটঃ
দ্বিতীয় যে ভুলটির কথা বলে ছিলাম সেটা ছিল লিংক প্রমোট করা বা শিয়ার করা। যেটা নিয়ে আমি পূর্বে অনেকটি আলোচণা করে দিয়েছি। এখন আলোচণা করব কিভাবে আপনি যথাযথ ভাবে লিংক প্রোমোট করতে পারবেন।
বন্ধুরা, সরাসরি অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রমোট করা যাবে না। তাহলে যেভাবে লিংক প্রমোট করবেন। লিংক প্রমোট করতে আপনি আপনার ব্লগ লিংকে প্রমোট করতে পারেন বা শিয়ার করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি আপনার ব্লগে যে নিশ নিয়ে আর্টিকেল লিখেছেন সেখানে পোষ্টে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে তারপরে আপনি আপনার ঐ ব্লগ পোষ্ট কে গুগল দিয়ে প্রমোট করিয়ে নিন বা শিয়ার করা শুরু করুন। অথবা আপনার পোষ্টটাকে একটি পেইজবুক পেইজ এ দিয়ে সেই পেইজটাকে ফেসবুক অফিসিয়াল ভাবে প্রমোট করিয়ে নিন।