আজ কিছু সামুদ্রিক দানব দের বাপারে বলছি যারা খুব সহজেই যে কোন জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারত। সাধারন মানুষ এদের সামুদ্রিক রাক্ষস নামেই চিনে থাকে।
The top five sea monsters in the world |
Leviathan:
এটা সবথেকে বড় সামুদ্রিক জানোয়ার। যতদূর জানা যায় এটা 40 ফুট লম্বা হতে পারে। যাকে হয়তো আপনারা মুভি বা কোন রহস্যময় কাহিনীতে পড়ে থাকবেন। কেউ কেউ কি এটা মনে করে যে এটা শয়তানের আরেকটি রূপ।
কিছু মানুষকে এটা বলেন যে এটা শুধুমাত্র সমুদ্রে থাকা এক বিশাল জানোয়ার। কিছু মানুষ এটাও বলে যে এটার মধ্যে প্রাকৃতিক শক্তি আছে।
যারা বিশ্বাস করে না তারা এটা করেছে এটা মানুষকে ভয় পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র কাল্পনিকভাবে তৈরি করা এক গল্প মাত্র।
The Gigantic Octopus:
এই অক্টোপাস সমুদ্রে যে কোন জাহাজটি ডুবে দেওয়ার জন্য বিখ্যাত বলে জানা যায়। এটার সাইজ ২০ ফিট পর্যন্ত হতে পারে। যাদের সম্পর্কে আমার এ পর্যন্ত অনেক ঘটনা শুনেছি। কিন্তু আমরা এখনো যেটা পৃথিবীতে থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি।
কিন্তু কিছু মানুষ এটা মনে করে যে এটা আমাদের পৃথিবীতে সত্যিই বাস করত কিন্তু কিছু বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। যার শরীরের কিছু ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের কিনারে এখনো পাওয়া যায়। যা থেকে বোঝা যায় যে কোন এক সময় পৃথিবীতে অবস্যই ছিল।
The Bloop:
এই প্রাণীটিকে নিয়ে দুটি থিওরি হয়েছে। প্রথম থিওরি অনুসারে এটি একটি সামুদ্রিক রাক্ষস। আর দ্বিতীয় থিওরি অনুসারে এটা শুধুমাত্র একটা আওয়াজ আটলান্টিক মহাসাগরে বরফ ভাঙার ফলে সৃষ্টি হয়। ন্যাশনাল অরকানটিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর মতে এই প্রানিটি এই পৃথিবীতে বাস করে।
আর তাদের মতে এটা খুবই বড় প্রাণী যা সমুদ্রের অনেক নিচে বাস করে। আর পৃথিবীতে এখনো কয়েক ট্রিলিয়ন জীবজন্তু আছে যা মানুষের জানা নেই। সেই অনুসারে এই প্রাণীটি পৃথিবীতে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন - বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ
Jormungandr:
সমুদ্রের নাকি এই প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছে। একটা কথা প্রচলিত আছে যে এই প্রাণীটি যখন নিজেই নিজের শরীরে কামড় দেয় তখন তার শক্তি বেড়ে যায় আর এর কোন প্রাকৃতিক শক্তি নেই। তবে এর রক্তে মারাত্মক একধরনের বিষ রয়েছে। আর কিছু মানুষ
একে কাল্পনিক ঘটনা বলে মনে করে। আর কেউ কেউ এটা বলেছে যে এটাকে তারা নিজের চোখে দেখেছে। ডুবে যাওয়া জাহাজ জাহাজথেকে বেঁচে ফেরা মানুষ অনেকেই এটা বলে যে তাদের উপরেই প্রানী আক্রমণ করেছিল।
Dakosaurus:
এটা ডাইনোসরের যুগের সময় সমুদ্রের সবথেকে ভয়ঙ্কর শিকারিদের মধ্যে অন্যতম ছিল এর ধ্বংসাবশেষ জার্মানিকে পাওয়া গিয়েছিল যা দেখতে তিমি মাছ আর কুমিরের সংমিশ্রণের মত ছিল। কিছু বছর আগে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এর জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিল।
যার মধ্যে আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইংল্যান্ড রয়েছে। তাদের ভয়ঙ্কর দাঁতের কারণে সে সময় পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জীব হিসেবে পরিচিত ছিল।