অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য(Difference between official and unofficial phones)।
official and unofficial phones |
অফিশিয়াল ফোন এবং আনঅফিসিয়াল ফোন কি
অফিশিয়াল ফোন হচ্ছে যে ফোনটা দেশের সরকারের ট্যাক্স দিয়ে দেশের বাজারে প্রবেশ করে, অফিশিয়াল ভাবে আসে সেটা অফিশিয়াল ফোন । আর আনঅফিসিয়াল ফোন হচ্ছে অবৈধ ফোন, যেটা সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধপথে দেশের বাজারে আসে সেগুলো আনঅফিসিয়াল ফোন।
এই ফোনগুলোর মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে? ফোনগুলো কি দুই ভাবে তৈরি করা?
উত্তর হচ্ছে না, দুইটা ফোন একইভাবে একইসঙ্গে কোম্পানিতে তৈরি হয়েছে, দুইটা ফোনের মধ্যে কোন তফাৎ থাকবেনা। এর পার্থক্যটা হল একটা ফোন ট্যাক্স দিয়ে এসেছে অফিশিয়ালটা আর একটা ফোন ট্যাক্স না দিয়ে সরকার ফাঁকি দিয়েছে আনঅফিসিয়াল ফোন।
অফিশিয়াল ফোনের সুবিধা কি এবং আনঅফিসিয়াল অসুবিধা কি:
অফিশিয়াল ফোন প্রথম সুবিধা হল এই ফোনটা সম্পর্কে সরকার জানে। এই ফোনটা সরকার সরকারের ট্যাক্স দিয়ে আনা হয়েছে। আপনি একটা অফিশিয়াল ফোন ব্যবহার করছেন । কোন অবৈধ ডিভাইস ব্যবহার করছেন না। এর সঙ্গে আপনি ফোনের এক বছর হোক বা দুই বছরের অফিশিয়াল ওয়ারেন্টই পাচ্ছেন যেটা কোম্পানি থেকে দেয়া হয়। এই জিনিসগুলো কিন্তু আপনি আনঅফিসিয়াল ফোনের ক্ষেত্রে পাচ্ছেন না।
সব থেকে বড় কথা হলো আপনার ফোনের আইএমইআই(IMEI) নাম্বার বাংলাদেশ সরকারের কাছে আছে আপনি কোন বিপদে পড়লে সরকার আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। তবে আনঅফিসিয়াল ফোনের একটামাত্র সুবিধা যেটা হচ্ছে আপনি কম মূল্যে ফোনটা কিনতে পারবেন। এটাই কোন অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি পাবেন না, যে দোকান থেকে কিনেছেন সেই দোকান থেকেই আপনার ফোনটা সার্ভিসিং করে দেয়া হবে। অফিশিয়াল ফোনের দাম বেশি হয়ে থাকে কারণ সেখানে অনেক টাকা বাংলাদেশ সরকারের ট্যাক্স দিতে হয়। আনঅফিসিয়াল ফোনের ক্ষেত্রে সেই টাকাটা দিতে হয় না এর কারনে আপনি আনঅফিসিয়াল ফোন কম দামে কিনতে পারেন।
দাম কম হলেও আনঅফিসিয়াল ফোন থেকে অফিশিয়াল ফোন কেনা উত্তম। এতে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন।