বজ্রপাতের শব্দে বুক কেঁপে ওঠে না এমন মানুষ পাওয়া খুব দুষ্কর। আর সেটি যদি হয় সুপার বোল্ট তাহলে তো কোন কথাই নেই।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে সুপার বোল্টের সংখ্যা পৃথিবীতে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুপার বোল্ট |
এক সময় শুধু বৈজ্ঞানিক কল্পনাতে সুপার বোল্ট বা তীব্র বর্জ্রপাতের কথা শোনা যেত।
সাধারণ বর্জ্রপাতের চেয়ে অধিক শক্তিশালী সুপার বোল্ট এর অস্তিত্ব ছিল শুধু কল্পকাহিনীতে।
কিন্তু সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে সত্যি সত্যি সুপার বোল্টের অস্তিত্ব রয়েছে।
যা কিনা সাধারণ বর্জ্যপাতের তুলনায় ১০০০ হাজার গুন বেশী উজ্জল এবং শক্তিশালী।
১৯৭০ সালে সুপার ভোল্টের প্রথম ধারণা দেন বিজ্ঞানীরা। যদিও এটা নিয়ে এতদিনে খুব একটা গবেষণা হয়নি। তবে ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের পরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সুপার বোল্টের চমকপ্রদ অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন।
একটি সুপার বোল্টের মাধ্যমে প্রায় ১০০ গিগাবাইট শক্তি সম্পন্ন বর্জ্রপাত তৈরী হয়। এই গবেষণায় ১৬৩ টি সুপার বোল্টের অস্থিত্ব পাওয়া গেছে এই গবেষণায়।
মেঘের শক্তিশালী বিদ্যুৎ ক্ষেত্র তার চারপাশের বাতাসের অপরিবাহী ধর্মকে নষ্ট করে দেয় যাকে বলা হয় ডি ইলেকট্রনিক প্রিকডাউন।
মেঘে অবস্থিত বিদ্যুৎক্ষেত্র যখন শক্তিশালী হয় প্রতি ইঞ্চিতে প্রায় 10 হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ শক্তির উপস্থিতি পাওয়া যায়।
Super Volt
তখন তার আশেপাশের বাতাস ধনাত্মক(-) এবং ঋণাত্মক(-) চার্জে বিভক্ত হয়ে যায়। এই আয়নিত বাতাস প্লাজমা নামেও পরিচিত।
বাতাস আয়নিত হয়ে মেঘ এবং ভূপৃষ্ঠের মধ্যে বৈদ্যুতিক চলাচলের পথ তৈরি করে দেয় যার ফলে বজ্রপাত ঘটে।
এই কারণেই মূলত সুপার বোল্ট তৈরি হয়।
সুপার ভোল্ট খুবই প্রাণিকুলের জন্য বিপদজনক । পৃথিবীতে দিন দিন এর পরিমান বেড়েই চলছে।