কুয়াকাটা ভ্রমণ | Kuakata Ture | All about Kuakata

কুয়াকাটা ভ্রমণ। কুয়াকাটা ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভোরে সূর্যোদয়ের অনেক আগেই আপনাদের যানবাহন থেকে নামিয়ে দেয়া হবে। নিজ দায়িত্বে একটা হোটেল খুঁজে ভাড়া নিতে হবে।

Kuakata Sunrise



যদি সূর্যোদয় দেখতে চান তাহলে বেশি দেরি না করে বেরিয়ে পড়তে হবে। হোটেল থেকে বেরোলে অনেক মোটরসাইকেল আরোহী আপনাকে প্রস্তাব দিবে সূর্যোদয় দেখার জন্য। ওখানকার প্রধান বাহন মোটরসাইকেল। অনেক মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে আপনাকে প্রস্তাব দিবে সূর্যোদয় দেখতে যাওয়ার জন্য। রাতের অন্ধকারে সাগরের পাশ দিয়ে মোটরসাইকেলে করে আপনি যেতে হবে। রাতে চারপাশ শান্ত থাকায় সমুদ্রের ঢেউ খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারবেন। সমুদ্রতীরে জল আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পাবেন স্পষ্ট। মুহুর্তটা খুব উপভোগ করবেন।

Sea waves


আপনার তখনই মনে হবে সাগরের জলে নেমে যায়। সাগরের পারে অনেক বড় বড় জেলে নৌকা দেখতে পাবেন। ঝড়ে বিধ্বস্ত গাছের গুড়ি উল্টে পড়ে থাকা দেখতে পারবেন। উল্টে যাওয়ার পরে গাছ  থেকে আবার নতুন গাছের কুশির সৃষ্টি হয়েছে।
যাইহোক কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরে আপনি সেই নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে পারবেন। গিয়ে দেখবেন অনেক মানুষের ভীর সূর্যোদয় দেখার জন্য। আপনার মতো অনেকেই অপেক্ষা করছে সূর্যোদয় দেখার জন্য। অবশেষে প্রতীক্ষার পর সমুদ্রের সূর্যোদয় দেখতে পারবেন। 
শুধু সূর্যোদয় আর সমুদ্র দেখা শেষ নয়। কুয়াকাটায় আরো অনেক দেখার জিনিস আছে। সেখান থেকে একটা মোটরসাইকেল ভাড়া করে আপনি সারা কুয়াকাটা উপজেলা ঘুরে বেড়াতে পারবেন। 
অতিথি পাখির চর, 
বৌদ্ধ মন্দির, 
মিষ্টি পানির কুয়া, 
বৌদ্ধদের প্রথম জাহাজ, 
মিস্ত্রীপাড়া তাঁত পল্লী, 
যে কুয়ার নাম অনুসারে কুয়াকাটা নাম হয় সেই কুয়া। 



এইসব দেখতে আপনাকে বেশ ঘুরতে হবে। আপনি মিস্ত্রীপাড়া  তাঁত পল্লী থেকে ইচ্ছা করলে অনেক জিনিস কিনতে পারবেন। সেখানে ছোটখাটো একটা বাজার আছে।

আরও পড়ুন - Top 5 tourist place in Bangladesh


অবশেষে আপনাকে রেখে যাওয়া হবে আপনার সেই নির্দিষ্ট হোটেলে। সেখান থেকে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে ফাতরার বনে যাইতে পারেন। ফাতরার বনে না গেলে তখনই স্নান করতে পারেন সাগরে।  তবে সাগরে স্নান করার সময় সাবধান। কোড়ালের কারণে পা কেটে যেতে পারে।
Sea



স্নান শেষে অবশ্যই হোটেলে এসে বাথরুমে পরিষ্কার জল দিয়ে আবার গা ধুয়ে নেবেন। বিকালে হালকা কিছু খেয়ে সাগরের পাড়ে সূর্যাস্ত দেখতে পারেন। সাগরের পারে অনেক দোকান আছে। সেখান থেকে আপনি ঝিনুকের কাজ করা বিভিন্ন জিনিস পাবেন। কুয়াকাটা স্মৃতি হিসেবে সেগুলো বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন। যেখানে আপনারা অনেক ফটোগ্রাফার পাবেন যারা আপনাকে ছবি তুলে দিতে চাইবে। ইচ্ছা করলে কিছু ছবি তুলে নিতে পারেন। মূলত সূর্যাস্ত দেখার পরে কুয়াকাটা ভ্রমন শেষ। তারপর আপনি আশেপাশের বাজার ঘুরে দেখতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন