বিষ অথবা পয়জন জিনিস টা নিশ্চয়ই কোন কেমিক্যাল।এক্সপায়ারি ডেট ওভার হওয়ার পর ওই পয়জনের সাথে কি ঘটবে সেটা সম্পূর্ণই নির্ভর করে তাতে থাকা কেমিক্যাল কম্পাউন্ডের ওপর।
কমন যে অরগ্যানিক পয়জন গুলো রয়েছে (যেমনঃ কীটনাশক, হার্বিসাইড ইত্যাদি) এগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত সময়ের সাথে টক্সিসিটি কমে যায়। এগুলোর এক্সপায়ারি ডেটের মানে হল, ডেট ওভার হয়ে গেলে ডোজ বেশি লাগবে।
একইভাবে, কিছু পয়জনের এক্সপায়ারি ডেটের মানেটা সম্পূর্ণই উল্টো। সময়ের সাথে সাথে এরা আরও বেশি টক্সিক হয়ে যায়।
এতো গেল অরগ্যানিক পয়জনের কথা। ইনঅরগ্যানিক পয়জন যেমনঃ আর্সেনিক কিংবা মার্কারির ক্ষেত্রে যে এক্সপায়রেশন ডেট দেয়া থাকে এটার মানে হল, এরা বাতাস থেকে আর্দ্রতা গ্রহণ করে কেমিক্যালি চেঞ্জ হতে থাকে এবং আস্তে আস্তে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আর্সেনিকের ক্ষেত্রে, কখনো কখনো এই পরিবর্তিত আর্সেনিক আরও বিষাক্ত হয়ে যায়, যদিও ডেট ওভার হওয়ার পর তার প্রভাব বিস্তার করতে সময় অনেক বেশি নেয়।
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড সময়ের সাথে সাথে পানি এবং অক্সিজেন অণুতে পরিবর্তিত হতে থাকে এবং তার যে ক্ষতিকারক প্রভাব ছিল প্রথমে সেটা হারাতে থাকে৷
আবার ভেনম এর ক্ষেত্রেও তাই। আপনি কখনোই ভেনম কে সারাজীবন একটা জারে রেখে দিতে পারবেন না।
মূলকথা, পয়জন পয়জনই থাকে। সময়ের সাথে সাথে কোনটার টক্সিসিটি কমে আবার কোনটার বাড়ে। আর এটা নির্ভর করে তার কেমিক্যাল কম্পাউন্ডের ওপর।